বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচন বানচালে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র: তৈমুর

  • প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৬:০৩

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই রকম অনেক কিছু থেকে আমাকে সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার।

শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন রূপগঞ্জে নির্বাচনি প্রচার শুরু করার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই রকম অনেক কিছু থেকে আমাকে সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

শুক্রবার তৃণমূল বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলন নিয়ে তৈমুর বলেন, ‘যারা সংবাদ সম্মেলন করে নানা অভিযোগ করেছে তারা এ দলের কেউ না। আসল কথা হলো নির্বাচন বানচাল করতে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অভিযোগ যারা করেছে ব্যানারে যাদের নাম দেখলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে এবং সভাপতি হিসেবে তাদের কাউকে দেখলাম না। আর নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে পর্যন্ত অফার দেয়া হয়েছে, নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য যেকোনো কিছুর বিনিময়ে। আমি বলেছি, জীবনের বিনিময়ে হলেও আমি যেটার কথা দিয়েছি তার বাইরে যাব না।’

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘যারা সাংবাদিক সম্মেলন করেছে তারা তৃণমূল বিএনপির সদস্য না, তৃণমূল বিএনপির কমিটিতে নেই। আর যাদের নাম প্রধান অতিথি এবং সভাপতির নামে দেখেছি তাদের কাউকে সেখানে দেখিনি। তবে এই ৬০ জন হয়তো শরীক দল থেকে এসেছে।

‘আর আমাকে যেহেতু প্রস্তাব দেয়া হয়েছে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার, সেখানে তাদের বেলায় তো প্রস্তাব থাকতেই পারে। তবে এটাও সত্য আমরা আমাদের প্রার্থীদের সে রকম ফান্ড দিতে পারিনি। আমরা আমাদের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী প্রার্থীদের ফান্ড দিতে পারিনি। আওয়ামী লীগ যেমনটা করতে পারে আমরা সেরকম করতে পারিনি। নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানা রকমের ষড়যন্ত্র চলছে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ কোনো রকমে বায়াসড হয়ে এটা করতে পারে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র এখনও চলছে যাতে বাংলাদেশে নির্বাচন না হয়। ১৪২ জনের মধ্যে মাত্র ৭ জন এটা করেছে। তাছাড়া ওই সংবাদ সম্মেলনের প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর মাজমাদার (তৃণমূল বিএনপির কো-চেয়ারপারসন) ও মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান খান (ভাইস চেয়ারপারসন) এর উপস্থিত থাকার কথা ছিল, তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন।’

আলোচনা সভায় তৃণমূল বিএনপির কো-চেয়ারপারসন কেএ জাহাঙ্গীর মাজমাদার প্রধান অতিথি ও ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান খান সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও তারাও পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।

রূপগঞ্জের মানুষ তাদের মনের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থী খুঁজে পেয়েছে জানিয়ে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর বলেন, ‘রূপগঞ্জের মানুষ তাদের মনের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থী খুঁজে পেয়েছে। এতদিন মানুষ মুখ খুলতে পারে নাই। এই রূপগঞ্জ শাসক দলের অধীনে ছিল। রূপগঞ্জের ব্যবসা বাণিজ্য ও নদী খাল দখল সবাই তাদের অধীনে ছিল। এখানে দল-মত নির্বিশেষে সবাই নির্যাতিত।

‘এই নির্যাতিত ব্যাক্তিগুলো এখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। মানুষ এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে। আমি লক্ষ্য করেছি, আমি আগে যেখানে গেলে ৫০-১০০ জন মানুষ হতো এখন শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হয়। এর মধ্যে কয়েকটা শ্রেণি আছে, যারা মনে করে আমি তদের চাকরি দিয়ে জেল খেটেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর