বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘হত্যার হুমকি’: চেয়ারম্যানের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রামপুলিশ সদস্য

  • প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ   
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:৪৯

গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গ্রামপুলিশ সদস্যের বাড়ি হওয়ায় কয়েকজন সাংবাদিক তার কাছে এর কারণ জানতে চান। পরবর্তীতে তার বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এরপর ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে গ্রামপুলিশ সদস্য আবুল কালাম ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল তাকে দেখেই মারতে এগিয়ে যান এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় গ্রামপুলিশ সদস্যকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে গত ২০ ডিসেম্বর উপজেলার সরমঙ্গল গ্রামের মৃত মনফর উল্লাহর ছেলে আবুল কালাম দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েলসহ আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গ্রামপুলিশ সদস্যের বাড়ি হওয়ায় কয়েকজন সাংবাদিক তার কাছে এর কারণ জানতে চান। পরবর্তীতে তার বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এরপর ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে গ্রামপুলিশ সদস্য আবুল কালাম ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল তাকে দেখেই মারতে এগিয়ে যান এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।

বর্তমানে আবুল কালাম প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আবুল কালাম বলেন, ‘আমি জীবনের নিরাপত্তাসহ ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

তবে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল। তিনি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ছাড়াও বিষয়টি হাস্যকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও জানান তিনি।

দিরাই ইউএনও মো. মাহমুদুর রহমান খন্দকার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর