বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘অযোগ্য’ আখ্যায়িত করে পদত্যাগ দাবি করেছেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান মুহিব।
প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে তিনি এমন দাবি জানান।
এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়ান মুহিবুর। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয় প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা মুহিব সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বে রয়েছেন। মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করেই সংসদ সদস্য পদে মনোনয়পত্র জমা দেন তিনি। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ মেনে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য প্রার্থী না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ইসিতে আপিলেও নামঞ্জুর হয় তার মনোনয়ন। পরে আদালতের শরণাপন্ন হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর মুহিব প্রচারে নামলেও এখনও প্রতীক বরাদ্দ পাননি তিনি।
প্রতীক বরাদ্ধ প্রদানের দাবিতে বৃহস্পতিবার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন মুহিব। এ সময় এই প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে প্রতীক বরাদ্দের দাবি লেখা সম্বলিত বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। কর্মসূচি থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগও দাবি করা হয়। বলা হয়, ‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।’
মুহিবুরের সমর্থকদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো- ‘জেলা প্রশাসকের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ কর’, ‘হাইকোর্টের আদেশ মানতে হবে’, ‘অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চাই’, ‘২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট প্রার্থিতা বহালের রায় দিলেও এখন পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ না দেয়া ষড়যন্ত্র নয় কি?’, ‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়’ ইত্যাদি।
অবস্থান কর্মসুচি শুরুর আগে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের কাছে মুহিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘নৌকার প্রার্থীর সুবিধা করে দিতে এবং আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এমন কাজ করছে কমিশন। এ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি।’
তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল এ ব্যাপারে বলেন, ‘মুহিবুর রহমানের মনোনয়ন বৈধ হওয়ার উচ্চ আদালতের লিখিত কোনো আদেশ এখনও পাইনি। তাই ওই প্রার্থীকে (মুহিব) প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়নি।’