বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের এক মাস পেরোতে না পেরোতেই কালোবাজারিদের অত্যাচারে দিশেহারা ঢাকা-কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণেচ্ছুরা। এবার এ ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রুখতে র্যাবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে আইকনিক রেল স্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করেছে র্যাব-১৫-এর সদস্যরা।
তদন্তের নেতৃত্ব দেয়া কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অ্যাডিশনাল এসপি আবু সালাম চৌধুরী বলেন, ‘ট্রেনটি এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। এখন স্বপ্ন নিয়ে খেলছে কালোবাজারির দল। আমরা সরেজমিনে তদন্ত করছি। যারাই জড়িত থাকুক তাদের সামনে এনে আদালতে উপস্থাপন করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু কালোবাজারি নয়, রেল লাইনে যে নাশকতা চলছে তার প্রভাব এখনও কক্সবাজারে পড়েনি। আমরা বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছি। স্টেশনের যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব।’
গত রোববার কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-১-এর বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা ট্রেনে কালোবাজারি দমনে মামলা করেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে, একটি সিন্ডিকেট টিকিট বাগিয়ে নেয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন, যা ফৌজদারি কার্যবিধিতে আমলযোগ্য।
বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত স্বপ্রণোদিত মামলা করে র্যাব-১৫-কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে কি না- তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করে ১ ডিসেম্বর থেকে। প্রথম দিন থেকেই এই ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়া যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে, অনলাইন ও কাউন্টারে টিকিট পাওয়া না গেলেও কালোবাজারে বেশি দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি টিকিটের জন্য দেড় থেকে দুই শ’ টাকা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।