বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এমপি হওয়ার আশা মাস্টার্সের ছাত্রী আশার

  • প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১১:৪৯

স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি বলেন, ‘আমি এর আগে ২০২২ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সন্তোষজনক ভোট পেয়েছিলাম। সেই ভোটের অনুপ্রেরণাতে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।’

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী আশা মনি। মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পরেও হার মানেননি ২৭ বছরের এই প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। পরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন আশা।

তার সংসদীয় আসনে নির্বাচন করছেন হেভিওয়েট জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের সমর্থিত প্রার্থী একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ। এ ছাড়াও নির্বাচন করছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের কুলা প্রতীকে খলিলুর রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে গোপাল চন্দ্র রায়।

এই আসনের অন্যান্য প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারের অংশ হিসেবে লোকসমাগম করে হাটসভা, পথসভা করলেও আশা মনির প্রচার ভিন্নধর্মী। তিনি নির্বাচনি প্রচারণা করছেন ফসলের মাঠে কৃষকের সঙ্গে ও গরিব মেহনতি শ্রমিকদের সঙ্গে।

স্থানীয় একাধিক সাধারণ ভোটারের সঙ্গে কথা হয় প্রতিনিধির।

তারা জানান, কম বয়সী একটা নারী সংসদ নির্বাচন করছেন। তিনি ভোটে জিতবেন নাকি হারবেন জানা নেই। তবে তিনি তার ভয় ও জরাজীর্ণতাকে জয় করেছেন এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি বলেন, ‘আমি এর আগে ২০২২ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সন্তোষজনক ভোট পেয়েছিলাম। সেই ভোটের অনুপ্রেরণাতে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি গরিব ঘরের সন্তান, তবে তরুণদের নিয়ে নেতৃত্ব দিতে চাই সমাজ পরিবর্তনের। সমাজের হাল ধরতে, সমাজের দায়িত্ব তরুণ হিসেবে কাঁধে তুলে নিতে এসেছি। আমি ভোটারদের বাস্তব জীবনের কাছাকাছি গিয়ে আমার প্রচারণা চালাচ্ছি।

‘আমি সমাজে কী কী পরিবর্তন করতে চাই তরুণদের জানাচ্ছি। তারা আমার কথা শুনছে এবং তারাও সমাজ পরিবর্তনের ও তরুণ নেতৃত্বের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাইছে। আমি আশাবাদী বাংলাদেশটা হবে তারুণ্যনির্ভর।’

আশা মনি বলেন, ‘সংগ্রাম করে বড় হয়েছি। বাবা-মায়ের দোয়া ও সমর্থন আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আমার বাবা ক্ষুদ্র চা বিক্রেতা। আমার সাহস আর অনুপ্রেরণা আমার মেহনতি বাবা ও মা। আমি মনে করি, আমার সমাজে এসব মেহনতি মানুষ আর পিছিয়ে পড়া তারুণ্যের সংখ্যা অনেক বেশি। আমি তাদের সঙ্গে নিয়ে আগাতে চাই। এই মানুষগুলো আমার শক্তি।’

আশা মনির বাবা আনারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়, তাই আমি তাকে পেছনে রাখতে চাই না। আমি তাকে সবসময় সাহস জুগিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও সাহস দিয়ে যাব।’

আশা মনি জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের গন্ডগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি দিনাজপুর সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।

এ বিভাগের আরো খবর