আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মিরুর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে থাকতে না দেয়ার হুমকির অভিযোগে ওই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চয়ন ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুন-অর-রশিদ শুক্রবার বিকেলে এ নোটিশ দেন।
যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মিরুর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী চয়ন ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।’
নোটিশে বলা হয়, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বারিয়াপুর রাসেল স্মৃতি সংঘ নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধনের সময় ঈগল প্রতীকের প্রার্থী হালিমুল হক মিরুকে তিক্ত, উস্কানিমূলক এবং মানহানিকরভাবে দ্বারিয়াপুরে প্রতিহত করার জন্য কর্মী সমর্থকগণকে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং ভোটের দিন ঈগল মার্কার পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে না দেয়ার হুমকি দেন।
‘তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের পরিকল্পনার দায়ে চয়ন ইসলামের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না সেই মর্মে ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নৌকার নির্বাচনি প্রচারণার সময় এক বক্তব্যে সাবেক মেয়র ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মিরু দ্বারিয়াপুর আসলে প্রতিহত করা লাগবে। শাহজাদপুর পৌরসভার ভেতরে তার ভোট করার অধিকার নাই। সে একজন খুনি হিসেবে পরিচিত। সে মেয়র পদে দাঁড়িয়েছিল, মেলা মাস্তানি দেখেইছে।
‘তখন আমরা বিএনপি করতাম আমাদের পাওয়ার ছিল না। এখন যদি ওর কোনো বাপ থাকে নিয়ে আসুক।’
ওই সময় তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন করছে করুক। পরিস্থিতি বলে দেবে কখন কি করতে হবে। শক্তিশালী এজেন্ট তো আমরাই দেব, যেহেতু ওয়ার্ড আমার।
‘মিরু এজেন্ট খুঁজবে। মিরুর এজেন্ট ঢুকতে পারবে না। আমাদের এজেন্ট বাহাদুরের মতো সেন্টারে থাকবে। কিন্তু মিরুর এজেন্টকে আমরা থাকতে দেব না। আমাদের সঙ্গে যা করছে আমরা তা করবো। এখন তোর চেয়ে বেশি শক্তি আমাদের।’
তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মিরু নির্বাচনী অনুসন্ধান কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।