নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচালের রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভয় পাচ্ছে না। প্রার্থীরাও কোনো শঙ্কায় নেই। বরং এ ধরনের হুমকি-ধমকিতে প্রার্থীরাই ইসিকে সাহস জোগাচ্ছেন।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন অডিটরিয়ামে সকালে ঢাকা অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। এরপর বিকেলে ঢাকা জেলার সব প্রার্থীকে নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি মো. আলমগীর।
একটি বড় দলের ভোট বর্জনের কারণে ইসি ও প্রার্থীরা কোনো শঙ্কা বোধ করছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘প্রার্থীরা কোনো শঙ্কায় নেই। বরং তারা আমাদের সাহস জুগিয়েছেন আমরা যেন (নির্বাচন কমিশন) কোনো শঙ্কায় না থাকি। প্রার্থীরা বলেছেন- আমরা আতঙ্কিত নই; আপনারাও আতঙ্কিত থাকবেন না। আর আমরা (ইসি) মোটেও শঙ্কিত নই।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে আমি ১৪টি জেলা ঘুরে এসেছি। সেখানে আন্দোলনের কোনো কিছু আমার চোখে পড়েনি। এটা শুধু আমি মিডিয়াতেই দেখি। বাস্তবে এসব দেখি না। সব জায়গায়ই স্বাভাবিক জীবনযাপন চলছে। সবাই উৎসবের সঙ্গে ভোটের প্রচারে অংশ নিচ্ছে।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ঢাকা জেলার প্রার্থীদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে ছোট ছোট যেসব প্রার্থী আছেন তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন- ঠিকমতো প্রচার করতে পারবেন কিনা, ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন কিনা।
‘জবাবে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। সব কেন্দ্রে তাদের এজেন্ট থাকবেন। সেখানে যদি কোনো সমস্যা হয় প্রথমে তারা প্রিসাইডিং অফিসারকে জানাবেন। তিনি যদি সমস্যার সমাধান না করতে পারেন তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন। তারা আপনাদের সমস্যার সমাধান করবে। এবার আমাদের বিভিন্ন কমিটি ও উপ-কমিটি করা আছে, যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে।
মো. আলমগীর বলেন, ‘সকালে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে যে সভা হয়েছে সেখানে একটা নির্বাচন করতে গেলে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো তারা আমাদেরকে জানিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকেও তাদেরকে কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যাতে করে নির্বাচনে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কিছু না ঘটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবে (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, রিটার্নিং অফিসারসহ অন্যরা) তারা যেন নিরপেক্ষ থেকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সে বিষয়ে বলা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে তারা যেন কোনো আচরণ না দেখায় সে বিষয়ে বলা হয়েছে।’