ঢাকা-২ আসনের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘যারা অন্ধকারে বসে থেকে অবরোধ, অসহযোগের ঘোষণা দেয়, আগুন সন্ত্রাসীদের যারা উসকে দেয় তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আমি একজন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাই এই ব্যক্তিদের খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ঢাকা জেলার সকল প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সভা শেষে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আর ছাড় দেয়া যায় না। যে সমস্ত হাইকমান্ড, যারা নাকি এখন দেশের বাইরে আছেন, তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা আগুন সন্ত্রাস করছে এবং যারা নির্দেশ দিচ্ছে, তাদের সবাইকে জনসার্থে গ্রেপ্তার করতে হবে।’
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন যে ভূমিকা রাখছে, তাতে আগুন সন্ত্রাসীদের দমন করা সম্ভব হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে, আশা করি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেই পদক্ষেপ নেবে।’
এ সময় ঢাকা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাঈদ খোকন বলেন, ‘আজকে সবাই আমরা যারা ঢাকার প্রার্থী, তারা সবাই নিজ নিজ আসনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে মতবিনিময় করেছি। মূলত আমরা সবাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছি। বর্তমান সময়ে নির্বাচন কমিশনের আচরণে আমরা সবাই কমবেশি সন্তুষ্ট। কমিশনও আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন।’
ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘গত ১৬ ডিসেম্বর আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী রঙিন পোস্টার ছাপিয়ে এলাকায় মেরেছিল, সেই পোস্টারগুলো আমাকে আজ উঠিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। এটাই ছিল আমার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময়ের মূল আলোচ্য বিষয়।’
এ ছাড়াও হরতাল-অবরোধের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে জানিয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা বলেছি, যারা হরতাল-অবরোধ করে তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকতে চায়, তারা এসব জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যারা এগুলো করে, তাদের আমরা আইনের আওতায় আনতে বলেছি।’