ঢাকার সাভারে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও হুমকির অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ জাকির হোসেন বুধবার এ বিষয়ে তার স্বাক্ষরিত তিনটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল, সাভার পৌরসভার কাতলাপুরের সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. বাবু ও পলাশের বিরুদ্ধে এই তিন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, ‘গত সোমবার সন্ধ্যায় নামাগেন্ডা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নির্বাচনি অফিসে কর্মী-সমর্থকদের হুমকি, মারধরসহ প্রচারণায় বাধা প্রদান করা হয়। ওই রাতেই পৌরসভার ভাগলপুরে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌহিদ জং মুরাদের অস্থায়ী নির্বাচনি কার্যালয়ে ১৫ থেকে ১৬ জনকে সঙ্গে নিয়ে হামলা করে ব্যানার ছিঁড়ে কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করা হয়।
‘এ সময় তৌহিদ জংয়ের নির্বাচনি প্রচারণায় কেউ অংশ নিলে তাকে হত্যার হুমকিসহ তার কর্মী আবদুল হালিমের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা করে সাইনবোর্ড ও তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। উক্ত কার্যের দ্বারা আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১১(গ) বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ করেছেন।’
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘উক্ত বিধিমালা লঙ্ঘনের কারণে কেন নির্বাচন কমিশনে আপনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না মর্মে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টার সময় ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ জাকির হোসেনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
সাভারের ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’