রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে দেয়া দুর্বৃত্তদের আগুনে প্রাণ হারানো বাকি দুই জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
তারা হলেন ৬০ বছর বয়সী রশীদ ঢালি ও ৩৪ বছর বয়সী খোকন মিয়া। এ ঘটনায় ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে নুরুল হক নামে একজন আহত হয়েছেন।
রশীদ ঢালির ভাতিজা বেলাল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা সদর উপজেলার উত্তর নাগরা গ্রামে। চাচা ওই এলাকাতেই তৈরি পোশাকের ব্যবসা করতেন। তিনি রাতে নেত্রকোণা থেকে ট্রেনে করে কমলাপুর যাচ্ছিলেন।’
রশীদ ঢালির সোয়েটার, হাতের নখ, জুতা দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। তার দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।
প্রাণ হারানো খোকন মিয়ার মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী সাজনা বেগম।
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নারায়ণগঞ্জে একটি টেক্সটাইলে অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আমরা তার পাঞ্জাবি এবং পাঞ্জাবিতে দাগ ও মুখমণ্ডল দেখে মরদেহ শনাক্ত করি।
‘আমাদের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায়। নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের বিসিক এলাকায় দুই সন্তান নিয়ে থাকছি।’
ঢাকা রেলওয়ে থানার এসআই মো. সেতাফুর রহমান বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তির মরদেহ শনাক্তের পর ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় পুড়ে মারা যান ৩৫ বছর বয়সী নাদিরা ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিনসহ চারজন। পরে ফায়ার সার্ভিস তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার জানান, ভোর ৫টা ৪ মিনিটে খবর পেয়ে ৫টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে শুরু করেন ফায়ার সার্ভিস।