বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুপ্রিম কোর্টে বুধবার প্রার্থিতা ফিরল, বাতিল রইল যাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:১৬

আলাদা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেয়।

এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও সমর্থন জটিলতায় ফেনী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল কবীর (রিন্টু আনোয়ার) এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তার পালোয়ানের মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। একই সঙ্গে তাদের প্রতীক বরাদ্দ দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

অন্যদিকে ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদ এবং নোয়াখালী-৪ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নানের রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

আলাদা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেয়।

ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুস সালামের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত। আর বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য রেখেছে একই আদালত।

আবেদনে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

রিন্টু আনোয়ার: গত ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতাংশ ভোটারের তথ্য না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে ফেনী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল কবীরের (রিন্টু আনোয়ার) মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ বিষয়ে তিনি আপিল করলে নির্বাচন কমিশনও তা নাকচ করে। পরে হাইকোর্টে রিট করেন রিন্টু আনোয়ার। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রিন্টু। পরে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তাকে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেয়।

আবদুস সাত্তার পালোয়ান: এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন জটিলতায় লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তারের পালোয়ান মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতাংশ ভোটারের তথ্য না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। আপিল করার পর তা ১৩ ডিসেম্বর নাকচ করে নির্বাচন কমিশন। পরে তিনি হাইকোর্ট রিট করেন। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে আদেশ দেন।

সালাহ উদ্দিন: ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের রিট সরাসরি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এর আগে ঋণখেলাপি হওয়ার দায়ে সালাহ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন সালাহ উদ্দিন। ১৫ ডিসেম্বর সে আপিল নাকচ করে দেয় কমিশন। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর মান্নান: নোয়াখালী-৪ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবদুল মান্নানের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে তার রিট খারিজ করে দেয়। অপরদিকে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ নোয়াখালী-৪ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবদুল মান্নানের করা রিটটি খারিজ করে দেয়।

ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা গত ৩ ও ৪ ডিসেম্বর ওই দুই আসনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন তার আপিল নাকচ করে। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আসেন তিনি।

আবদুস সালাম: ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুস সালামের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেয়।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগ এনে আবদুস সালামের প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। পরে এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। গত ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ওই রিটের শুনানি নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয়। হাইকোর্টের এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে যান আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান।

সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ: বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন। আবেদনে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছেন তিনি।

আবেদনের বিষয়টি বুধবার জানান সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি হবে চেম্বার জজ আদালতে।

এর আগে গত মঙ্গলবার সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেয়।

এর আগে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান ওই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক। গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্ব ইস্যুতে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। এরপরই তিনি হাইকোর্টে আসেন।

এ বিভাগের আরো খবর