নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব দিয়ে তাদের পায়ে ধরতে বাকি ছিল। বাকি সব চেষ্টাই করেছি। তারা আমাদেরই স্বীকার করে না, নির্বাচনে আসবে কেন!’
মেহেরপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার মতবিনিময় সভা শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন ইসি আহসান হাবিব খান। ছবি: নিউজবাংলা
মতবিনিময় শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবিব খান বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা কোনো চাপে নেই। বিদেশি কূটনীতিকরা নির্বাচন সম্পর্কিত আমাদের ব্রিফ শুনে ভেরি গুড বলেছেন। তারা কখনও আপত্তি বা অভিযোগ প্রকাশ করেননি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা এই নির্বাচন করছি। তাই বলছি, নির্বাচনে কোনো হট্টগোল বা জালিয়াতির সুযোগ নেই। যেখানেই গণ্ডগোল হবে, সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এমন নির্দেশ দেয়া আছে। ভোট গ্রহণের সঙ্গে জড়িত কেউ কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মতিবিনিময় অনুষ্ঠানে মেহেরপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ প্রফেসর আব্দুল মান্নান নৌকার প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ এবং প্রটোকল ও পুলিশ প্রটেকশন ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ করেন।
মতবিনিময় সভায় মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমানসহ দুই জেলার ১৩টি আসনের প্রার্থীরা ও সব উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা নির্বাচন পরিস্থিতি এবং করণীয় বিষয়ে বক্তব্য দেন।
নির্বাচনে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার চারটি সংসদীয় আসনে মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।