আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ দেশ-বিদেশে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তারা বেলুনের মতো চুপসে গেছে। এখন শক্তিশালী ভিটামিন দিয়েও বিএনপিকে দাঁড় করানো যাচ্ছে না। ইনশাআল্লাহ ৭ জানুয়ারি ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ বিএনপিকে ধাওয়া করেছে, আর জনগণের দৌড়ানি খেয়ে তারা ইঁদুরের মতো গর্তে ঢুকেছে। ইঁদুর গর্তের ভেতর ঢুকে চোখ মেলে তাকায়। এখন বিএনপির রিজভী আহমেদ গর্তের ভেতর থেকে চোখ মেলে তাকান আর কর্মসূচি ঘোষণা করেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালীর আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার বিকেলে ইছাখালীতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক দিয়ে মরিয়মনগর চৌমুহনী গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে তার এই সাইকেল প্রচারণা শেষ হয়।
পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে পাহাড়ের চুড়ায় সত্যপীরের মাজার এবং নিজের পিতা-মাতাসহ মুরব্বিদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে গাড়ি পোড়ানো। তাদেরকে জনগণ বর্জন করেছে। রাঙ্গুনিয়ার মাটিতেও তাদের কোনো স্থান নেই। রাঙ্গুনিয়ায় যারা ছিল তারা জনরোষ থেকে উদ্ধার পেতে গর্তের মধ্যে ঢুকেছে।’
নৌকার এই প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত মনে করেছিল, আমরা নির্বাচন করতে পারব না। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, সব প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।’
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যেভাবে প্রতিবার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনারা ভোট দিয়েছেন এবারও দ্বিগুণ উৎসাহে মা-বোনদের সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই।
‘১৫ বছর ধরে আমার দুয়ার সব মানুষের জন্য খোলা ছিল। এখন আমি আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি। আপনাদের কাছে আমার বিনীত ফরিয়াদ- দয়া করে আমার জন্য আপনাদের দুয়ারটি খুলে দেবেন।’
ড. হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫৪ সালে সাইকেলে চড়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন। ৫৪ সাল থেকে আমাদের দলীয় প্রতীক হচ্ছে নৌকা। আমি আজকে রাঙ্গুনিয়ার দলীয় কার্যালয় থেকে সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। এবং আজকে আমি নৌকায় চড়ে কর্ণফুলী নদী পাড় হয়েছি।’
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।