ভোটের দিন কোথাও কোনো ধরনের অসঙ্গতি চোখে পড়লে ভোটারদের তার ভিডিও ধারণ করে রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। নিজ দলের প্রার্থীদেরও একই আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের দিন কোথাও কোনো অনিয়ম ঘটলে তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেবেন। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছে দেয়া হবে।’
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ভোটে লড়বেন মোট ৩৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে লড়বেন সর্বোচ্চ ৯ জন প্রার্থী আর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লড়বেন সর্বনিম্ন ৪ জন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা।
দলীয় প্রতীক পেয়ে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শরীক দলগুলোসহ জাতীয় পার্টি সরকারি দলের অনুকম্পা নিয়ে নির্বাচন করছে। তবে এ নির্বাচনে এখন একমাত্র বিরোধী দল হলো তৃণমূল বিএনপি৷ গতকাল সকল নাটকের সমাপ্তি শেষে এখন তৃণমূলই বিরোধী দল হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে অংশগ্রহণ করছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের প্রয়োজনে এ দলের প্রার্থীকে ভোট দেবে। জনগণকে অনুরোধ করব, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে আসে এবং ভোট প্রদান করে। কোথাও কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে তা ভিডিও করুন।’
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিটি এলাকায় যেভাবে এমপিরা তাদের নিজস্ব পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন, এমপিবাহিনী বানিয়েছেন, সে বাহিনী যদি ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো এবারও লুটপাটের নির্বাচন করে, তাহলে নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- তা রক্ষা করতে পারবেন কি না, তা জনগণ বিবেচনা করবে।’
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমি বিএনপিতে একাই যোগদান করেছিলাম। আমার নানা ডিগ্রি থাকার পরও শ্রমিকদের নেতা হয়েছি। আমি সবসময় একাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আদালত পাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন তৈমুর।
এদিকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ প্রতীক বুঝে নিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হারিয়ে নিজ আসনে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তাদের সবাই।