ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে জাসদ ও জাকের পার্টিসহ ১৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
রোববার ময়মনসিংহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাকের পার্টির ৭ জন, জাসদের ৬ জন, তরিকত ফেডারেশনের একজন এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তথা স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
এদের মধ্যে মহাজোটের আসন ভাগাভাগির কারণে এদিন কেন্দ্রীয়ভাবে ময়মনসিংহ-৫ ও ময়মনসিংহ-৮ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়।
ময়মনসিংহের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ময়মনসিংহের ১১টি আসনে এবার ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়া প্রার্থীরা হলেন- ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী অ্যাডভোকেট এস.এম শিব্বির আহমেদ লিটন ও জাকের পার্টির সঞ্জিত সাহা; ময়মনসিংহ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মতিউর রহমান, তরিকত ফেডারেশনের বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী এবং জাকের পার্টির মো. নজরুল ইসলাম।
ময়নসসিংহ-৪ (সদর) আসনে জাসদের অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু ও জাকের পার্টির কামাল উদ্দিন; ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আবদুল হাই আকন্দ ও জাসদের শামছুল আলম খান; ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে জাসদের সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ও জাকের পার্টির এসএম দেলোয়ার হোসেন; ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে জাসদের রতন কুমার সরকার, জাকের পার্টির জুয়েল রানা ও স্বতন্ত্র আমিনুল হক।
এছাড়া ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে জাকের পার্টির শফিকুল আলম, ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে জাকের পার্টির মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান ও ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে জাসদের সাদিক হোসেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়া প্রসঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য সাত স্বতন্ত্র প্রার্থী দলীয় প্রধানের কাছে আবেদন করেছিলাম। তবুও প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়নি। এ জন্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। এখন কার পক্ষে কাজ করব, তা সময় বলে দেবে।’
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনে ১০৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই-বাছাইয়ে ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। তবে বৈধ প্রার্থী নান্দাইলের দলীয় প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আপিল করলে সালামের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ফলে ৮৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ছিলেন। এর মধ্যে ১৯ জন প্রত্যাহার করে নেয়ায় জেলার ১১টি আসনে নির্বাচনী মাঠে থাকলেন ৬৭ জন প্রার্থী।