বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি, ২ মরদেহ উদ্ধার

  • প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ   
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:৫৪

টঙ্গীবাড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসলাম হোসাইন বলেন, ‘ঘটনার পর যাত্রীদের অনেকেই সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হন। তবে এখনও কেউ নিখোঁজ রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি। অনুসন্ধান চলছে।’

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক কিশোরী ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টঙ্গীবাড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসলাম হোসাইন বলেন, ‘ঘটনার পর যাত্রীদের অনেকেই সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হন। তবে এখনও কেউ নিখোঁজ রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি। অনুসন্ধান চলছে।’

স্থানীয়রা জানান, মোস্তফা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির ট্রলার টংগিবাড়ী উপজেলার হাসাইলে নদীতে প্রতিদিন যাত্রী পারাপার করে। ভোর থেকে রাত প্রর্যন্ত এ খেয়া ঘাটে যাত্রী পারাপার চলে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসাইল ঘাটের ওপার থেকে ৫০-৬০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি চালিয়ে আসছিলেন চালক আলামিন। এ সময় বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ট্রলারটি ডুবে যায়।

ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ওই কিশোরী ও শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তবে আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।

নিহতরা হলো- উপজেলার মান্দ্রা গ্রামের নজরুল ব্যাপারীর মেয়ে ১৫ বছর বয়সী সিফা আক্তার এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ফারুক হোসেনের ছয় বছরের মেয়ে ফহিজা আক্তার।

এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাইদুর রহমান বলেন, ‘ট্রলারডুবির ঘটনায় আমাদের এখানে এ পর্যন্ত ৫-৬ জনকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই শিশুকে আনা হয়, যাদের হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়।’

ট্রলারের এক যাত্রী বলেন, ‘কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আমি শরীয়তপুর থেকে টংগিবাড়ী বাজারে মার্কেট করতে আসছিলাম। ট্রলারে অন্তত ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিল। সন্ধ্যার একটু পর ট্রলারটি ছাড়লে যখন মাঝ নদীতে আসি, তখনই আমাদের ট্রলারটিকে বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এর পরপরই ট্রলারটি ডুবে গেলে আমি বাল্কহেডের নিচে তলিয়ে যাই। পরে অনেক কষ্টে সাঁতার দিয়ে বের হইছি। সঙ্গে সঙ্গেই আরেকটি ট্রলার আমাদের উদ্ধারের জন্য আসে বলে বাঁচা, নইলে আরও অনেকেই মারা যেত।’

এক নারী বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে আরও কয়েকজন আত্মীয় মিলে ঢাকা থেকে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে হাসাইলের ওপারে চরে ঘুরতে এসেছিলাম। ফেরার পথে ট্রলারটি ডুবে গেলে আমি যখন ভেসে উঠি, তখন অন্য একটি ট্রলার এসে আমাকে উদ্ধার করে। কিন্তু আমার স্বামীকে খুজেঁ পাচ্ছি না।’

শাকিল নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাল্কহেডটি সরাসরি আমাদের ট্রলারের দিকে আসতেছিল। কাছাকাছি চলে আসলে ট্রলার চালক জোরে চিল্লানি দেয়, সঙ্গে আমরাও বারবার চিল্লাইয়া বলতেছিলাম- এদিকে ট্রলার। কিন্তু সে কিছুই শোনেনি, পরে আমাদের ট্রলারের ওপর বাল্কহেড তুলে দেয়। এতে ট্রলার উল্টে আমরা সবাই তলিয়ে যাই।’

এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি রাজিব খান বলেন, ‘ট্রলারডুবির ঘটনায় দুইজন মারা গেছে। ঘাতক বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে। তবে চালকসহ অন্যরা পালিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কেউ নিখোঁজ আছে বলে কেউ আমাদের বলেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর