বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতায় ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রণয় ভার্মা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:২৪

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার। সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের দীর্ঘ পথচলায় দু’দেশ আজ বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের উন্নতি ও অর্জন বিশ্বজুড়ে নন্দিত হয়েছে।’

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সহায়তায় অগ্রাধিকার দেয়া ভারতের নীতি। এই অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতায় ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রাজধানীর বনানীতে ঢাকা গ্যালারিতে বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে ‘মিট দ্য সোসাইটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর এই আয়োজনে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতায় উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ভারত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। এর ফলে দু’দেশের অগ্রগতি ক্রমশ বিকাশমান। ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে দুই দেশের নেতাদের রয়েছে দৃঢ় অঙ্গীকার।’

বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের দীর্ঘ পথচলায় বাংলাদেশ ও ভারত আজ বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের উন্নতি ও অর্জন বিশ্বজুড়ে নন্দিত হয়েছে।’

‘মহামারি, সন্ত্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারত-বাংলাদেশ বিশ্ব মঞ্চে একত্রে কাজ করেছে। জাতীয় উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা দু’দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও জনগণের মধ্যে সুদৃঢ় যোগসূত্র স্থাপন করতে চাই।’

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। সার্বভৌমত্ব অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ৫২ বছর আগে তাদের অকুতোভয় আত্মত্যাগ চির অমর হয়ে থাকবে।’

সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন শহীদ জায়া শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বীরপ্রতীক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার।

এছাড়াও সভায় বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনায় ৫২ বছরেও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা না হওয়া এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের জন্য ভাতা প্রদান না করার বিষয় উঠে আসে।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ৮০ ভাগই ছিলেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু উল্লেখ করে সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘অপারেশন সার্চলাইটের শুরু থেকেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজটি করা হয়েছে। ধর্মের নামে মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে পাকিস্তানি সৈনিকদের ধর্ষণে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।’

শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘দেশকে ভালোবাসার কারণে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস আজও রচিত হয়নি।’

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার কথা বলেন ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, ‘ধর্মে প্রতিহিংসা পাপ বলা হলেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় রাজাকার ও শান্তি কমিটিকে কোনোদিন ক্ষমা করা উচিত হবে না।’

একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচার করায় আলোচকবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জাতি গঠনে নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে দৃঢ় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্ববান জানান তারা।

এ বিভাগের আরো খবর