নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে আসতে নিষেধ করে দেয়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রউফের বক্তব্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ফতেপুর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে রোববার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিতে ইচ্ছে না হলে বিএনপির ভাইয়েদের কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নাই। আমরা আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী, আমরাই ভোট দিয়ে যাকে মনোনীত করি সেই আমাদের এমপি হবে।’
তার এ বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
ওই বক্তব্যে আব্দুর রউফ চেয়ারম্যানকে বলতে শুনা যায়, ‘আগামী ৭ তারিখ নির্বাচন। আপনারা কেউ ঝগড়া করবেন না। ঝগড়া করবেন না তার কারণ, বিএনপি কিন্তু নির্বাচনে আসেনি। খালি আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ, আরেক জন বিদ্রোহী দাঁড়াইছে। তার অবস্থা জানেন। অসুস্থ মানুষ, হঠাৎ করে উদ্যোগ নিয়েছে। আমরাই ভোট দিয়ে যাকেই মনোনীত করি সেই আমাদের এমপি হবে। ঠিক কি না?’
এ দিকে চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য ফেসবুকে ভাইরাল হলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা জানান, যেখানে সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি স্বতস্ফুর্ত উৎসবমুখর নির্বাচন করতে ভোটারদের নানা ভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের আয়োজন করছেন। সেখানে তার এ বক্তব্য খুবই দুঃখজনক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, ‘ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। রউফ চেয়ারম্যান ভোটারদের কেন্দ্রে না আসার কথা বলেছেন। তার এ বক্তব্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। এ বক্তব্যের দায় শুধু তাকেই বহন করতে হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের মোবাইলে নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি।