বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা

  • প্রতিনিধি, গাজীপুর   
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:২৮

পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে লিটন অন্তত দুই শ মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ছবি ও ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে চাকরি দেয়ার কথা বলে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ছাড়া বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত বুধবার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার বাঘমারা গ্রামের লিটন মিয়া, শেরপুর জেলার তাতীহাটি পূর্ব পাড়া গ্রামের আকিল হাসান ও তার শ্বশুর কালিয়াকৈর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম।

উপকমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান বলেন, ‘গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করে লিটন। পরে আউটসোর্সিং চাকরি দেয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে নগদ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।

‘এ ঘটনায় পুলিশের সাইবার টিম ওই ফেসবুক আইডি শনাক্ত করে জামালপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে লিটনকে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘লিটনের জব্দ করা দুটি মোবাইল ফোন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, লিটন পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম, ছবি দিয়ে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেছেন।’

পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে লিটন অন্তত দুই শ মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এদিকে বিকাশ ও নগদ এজেন্টদের পিন নম্বর সংগ্রহ করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আকিল হাসান ও তার শ্বশুর শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে উপকমিশনার কামাল হোসেন বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর সদর থানায় একটি বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টসহ মোবাইল ফোন এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরির মামলা হয়। মামলা তদন্ত করে গতকাল গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব ও কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

জিজ্ঞাসাবাদে আকিল ও শফিকুল জানান, তারা বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর