বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হরতাল-অবরোধের এক মাসে ১৩২ বাসসহ ২১২ গাড়িতে আগুন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:০৩

সোমবার সকাল থেকে থেকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পাঁচটি যানবাহনে আগুন লাগানোর সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে একটি, হবিগঞ্জে একটি, পাবনায় একটি, টাঙ্গাইলে একটি ও খুলনায় একটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর থেমে থেমে ডাকা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির প্রায় এক মাস হতে চলেছে, এই সময়ের মধ্যে সারা দেশে ১৩২টি বাসসহ মোট ২১২টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

গত ২৮ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হিসাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা পাঠিয়ে ফায়ার সার্ভিস বলেছে, এক মাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ২২৩টি। এর মধ্যে ২১২টি গাড়িতে এবং বাকিগুলো স্থাপনায়।

এ ছাড়া সোমবার সকাল থেকে থেকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পাঁচটি যানবাহনে আগুন লাগানোর সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে একটি, হবিগঞ্জে একটি, পাবনায় একটি, টাঙ্গাইলে একটি ও খুলনায় একটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় একটি ট্রেনের বগি, তিনটি বাস ও একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই আগুন নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০টি ইউনিট ও ৫০ জন জনবল কাজ করে।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ২৮ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৩২টি বাসে, ৩৫টি ট্রাকে, ১৬টি কাভার্ড ভ্যানে, ৮টি মোটর সাইকেলে, দুটি প্রাইভেট কারে, তিনটি করে মাইক্রোবাস, পিকআপ, সিএনজি, ট্রেন ও লেগুনায় এবং একটি করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের গাড়ি, নছিমন ও অ্যাম্বুলেন্ন্সে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় কিছু ১১টি স্থাপনায়ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ অফিস, বিএনপি অফিস, পুলিশ বক্স, কাউন্সিলর অফিস, বিদ্যুৎ অফিস, বাস কাউন্টার ও শোরুম।

বিএনপির অবরোধ-হরতালের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে গত ২৮ অক্টোবরের পর। সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে সেদিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছিল বিএনপি। ওই সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে দৈনিক বাংলা মোড়, কাকরাইল ও পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান দলটির নেতা-কর্মীরা। আগুন, ভাঙচুর ও ককটেল ছোড়া হয়। পিটিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশের এক কনস্টেবলকে। এ ছাড়া সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন আরও একজন।

এ অবস্থায় সমাবেশ কর্মসূচি চলার মধ্যেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতালের ডাক দেন। পরে একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। অজ্ঞাত স্থান থেকে রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি দেন। বিএনপির অবরোধে একাত্মতা জানায় জামায়াতে ইসলামীও।

এর পর থেকে বিরতি দিয়ে দফায় দফায় অবরোধ-হরতালের ঘোষণা দিয়ে আসছে বিএনপি। দলীয় সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ কিছু দাবিতে এমন কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে। তবে এর মাঝে নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল দিয়েছিল বিএনপি। সর্বশেষ ঘোষণা করা হয় ২৪ ঘণ্টার অবরোধ এবং ২৪ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি।

বিএনপির ডাকা অবরোধে প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল নিক্ষেপসহ নানা সহিংসতা হচ্ছে। কঠোর অবস্থানে থেকে দলটির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। তবে আতঙ্ক সঙ্গে করেই বাইরে বের হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এ বিভাগের আরো খবর