মাদারীপুরের কালকিনিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের কাছে রোববার রাত ৮টার দিকে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হয়। অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে মাদারীপুর-৩ আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে রোববার রাত ৮টার দিকে মিটিং করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। মিটিং শেষে তাহমিনা সিদ্দিকার অনুসারীরা কালকিনি শহরে একটি মিছিল বের করে।
নেতা-কর্মীরা জানান, মিছিলের সময় তাহমিনা সিদ্দিকার অনুসারী এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাম সরদারের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। পরে তাহমিনার সমর্থকরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে।
এর পর কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালকিনি থানার ওসি নাজমুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি নাজমুল হাসান জানান, যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ মোতায়ন রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকা এমপি বলেন, ‘আমার সমর্থক সালাম সরদারের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আমার কয়েকজন কর্মীকে আহত করেছে, তবে আগামীতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
‘পুলিশকে অনুরোধ করব, তারা যেন নিরপেক্ষ থাকে। কারণ প্রধানন্ত্রমী বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাদের নিরাপত্তা দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।