টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তথ্য গোপন করায় মুক্তির দুই আইনজীবী এম এ মুনতাকিম ও মো. জাকারিয়া হাবিবকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের রোববার এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী ও মো. মজিবুর রহমান মুজিব।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিনের বিষয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠায় কোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি পুনরায় কজ লিস্টে আনেন এবং এই আদেশ দেন।’
এর আগে ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মুক্তিকে জামিন দিয়েছিল। জামিনের পর ২২ নভেম্বর তিনি কারামুক্তি লাভ করেন। এরপরই সংবাদ প্রকাশ হয় যে, তথ্য গোপন করে মুক্তি জামিন নিয়েছেন। এটি আদালতের নজরে এলে জামিন বাতিল করা হয়।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
পরে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে ২০১৪ সালে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেয়া জবানবন্দিতে এ হত্যায় তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা এবং তার অন্য তিন ভাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে।
ছয় বছর আত্মগোপনে থেকে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।