বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষকের ধান কেটে প্রশংসায় ভাসছে দুই পুলিশ সদস্য

  • প্রতিবেদক,চট্রগ্রাম   
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:২৯

পুলিশ সদস্য আমির খান বলেন, ‘ওইদিন বিকেলে দিকে ডিউটি শেষে ব্যাচমেট আনিক আর সম্রাটসহ ব্যারাকে ফিরছিলাম। পথে ওই চাচাকে একটা বাচ্চা ছেলেসহ ধান কাটতে দেখে জমিতে নেমে পড়ি। আমি আর আনিক সূর্য না ডুবা পর্যন্ত ওনার কিছুটা ধান কেটে দিই।’

কৃষক বাবার সন্তান মো. আমির খান। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায়৷ সপ্তাহ দুয়েক আগে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন তিনি।

পুলিশে তার প্রথম দায়িত্ব পড়ে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশে। যুক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন সাগরিকা পুলিশ লাইনে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে দায়িত্ব শেষে নগরীর খুলশী এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন আরও দুই সহকর্মীর সঙ্গে।

ফেরার পথে সাগরিকা রেললাইন এলাকায় শিশু সন্তান নিয়ে এক কৃষককে ধান কাটতে দেখে নেমে পড়েন কৃষিজমিতে। সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সহকর্মী সরোয়ার উদ্দিন অনিককে নিয়ে ওই কৃষকের প্রায় এক একর জমির অর্ধেকাংশ কেটে দেন।

পরে পুলিশের পোষাকে কৃষকের ধান কেটে দেয়ার কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রশংসায় ভাসতে থাকেন তারা।

পুলিশ সদস্য আমির খান বলেন, ‘ওইদিন বিকেলে দিকে ডিউটি শেষে ব্যাচমেট আনিক আর সম্রাটসহ ব্যারাকে ফিরছিলাম। পথে ওই চাচাকে একটা বাচ্চা ছেলেসহ ধান কাটতে দেখে জমিতে নেমে পড়ি। আমি আর আনিক সূর্য না ডুবা পর্যন্ত ওনার কিছুটা ধান কেটে দিই।’

আমির জানান, তার বাড়িতে এখনও কৃষিকাজ হয়। কৃষক বাবা বয়সের ভারে চাষাবাদ কাজে এখন আর যেতে পারেন না। তবে আমিরের ভাইরা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষাবাদ। পুলিশে যুক্ত হওয়ার আগেও নিজেও ভাইদের সঙ্গে জমিতে চাষাবাদের কাজে যেতেন। তাই কৃষিকাজের প্রতি একটা বিশেষ টান কাজ করে তার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই কৃষকের নাম মুজিব আলী। তিনি জানান, ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নিজের জমির আমন ধান কাটছিলেন। এসময় তিনজন পুলিশ এসে তার সঙ্গে ধান কাটতে চান। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত তাদের দুজন অনেকখানি ধান কেটে দেন। এ ঘটনা পুলিশ সম্পর্কে ধারণা বদলে দিয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ পুলিশ রুটিন দায়িত্বের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী মানবিক কাজেও সদস্যদের উৎসাহিত করে। দুই পুলিশ সদস্যের কৃষকের ধান কেটে দেয়ার এ ঘটনা তারই অংশ বলে জানান চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের বাইরে নানা ধরনের ইতিবাচক ও মানবিক কাজ করে থাকে। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টির জন্য এরকম ইতিবাচক ও মানবিক কাজে আমরা আমাদের সকল সদস্যকে উৎসাহিত করে থাকি।’

এ বিভাগের আরো খবর