রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরে ট্রাক ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। নিহত ৫ জনের মধ্যে চারজনই একই পরিবারের।
ক্যন্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করাতে নাটোর থেকে রাজশাহী যাবার পথে এই পরিবারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত একজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা চিকিৎসার জন্য রোগী নিয়ে রাজশাহীতে যাচ্ছিলেন।
নিহতরা হলেন- ইনসার আলী , তার ছেলে আইয়ুব আলী লাবু, ইনসাব আলীর মেয়ে পারভিন বেগম, পারভিনের মেয়ে কলেজছাত্রী শারমিন ও সিএনজি চালক মোকলেস আলী। মোকলেস ছাড়া বাকিরা একই পরিবারের।
তাদের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কান্তপুর গ্রামে। আর সিএনজি চালক মোকলেসের বাড়ি গুরুদাসপুরের মকিমপুর গ্রামে।
নিহতদের স্বজনরা জানায়, ইনসাব আলী ক্যান্সারের রোগী। কেমো নেয়ার জন্য গুরুদাসপুর থেকে শনিবার সিএনজিতে চড়ে ইনসাব আলীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা রাজশাহী আসছিলেন।
এ সময় রাজশাহীর বেলপুকুর থানার খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাক সিএনজিকে চাপা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইসনাব আলী মারা যান। পরে স্থানীয়রা ৫জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। ট্রাকের হেলপার হৃদয়কে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এমএ জলিল জানান, আহত হৃদয়ের অবস্থাও সংকটাপন্ন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীর খড়খড়ি বাইপাস থেকে ট্রাক নাটোরের দিকে যাচ্ছিলো। আর সিএনজি নাটোর থেকে রাজশাহী আসার সময় বেলপুকুর চেকপোস্ট মোড়ে সংঘর্ষের পর ট্রাক ও সিএনজি খাদে পড়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।’