নাটোরের সিংড়া অধ্যুষিত চলনবিলে ফাঁদ পেতে পাখি শিকারের দায়ে তিনজনকে ৬ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হুলহুলিয়া ও সারদানগর এলাকায় এই দন্ডাদেশ দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পেশাদার পাখি শিকারি ৬৫ বছর বয়সী আবদুর রাজ্জাক, হুলহুলিয়া গ্রামের ৫৪ বছর বয়সী লুৎফর রহমান লতু ও ৭৫ বছর বয়সী মজু সরদার। ওই সময় পাখি শিকারিদেরকে আর পাখি শিকার করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
চলনবিলে উদ্ধারকৃত পাখিদের অবমুক্ত করে শিকারিদের সাজা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান। ছবি: নিউজবাংলা
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, শীতের শুরুতেই চলনবিলে পাখি শিকারিদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের কাছে পাখি শিকারের সংবাদ পেয়ে ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিলের সারদানগর, হুলহুলিয়া ও মুষ্ঠিগড় বিলে যায় পরিবেশকর্মীরা। ওই সময় দুই কিশোরসহ আরও পাঁচজন পাখি শিকারিকে আটক করাসহ সারস, শালিক, বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১৫টি পাখি উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে শিকারের কাজে ব্যবহৃত ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন ফাঁদ জব্দ করা হয়। পরে পাখি শিকারিদের ভ্রাম্যমান আদালতের সামনে হাজির করা হয়। তিনজন পাখি শিকারিকে ছয় হাজার টাকা করে জড়িমানা সহ শিকারি সজিব ও তুহিন এবং অপর দুই কিশোরকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে পাখিগুলো মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দেয়া, ফাঁদ ধ্বংশ করাসহ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান, ‘চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি হাসান ইমামসহ অন্যান্য পরিবেশকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ওই সময়।’