রাজশাহী নগরীর বালিয়াপুকুর এলাকায় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নগরীর বালিয়াপুকুর এলাকায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান ও বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা তারিকুল ইসলাম তরিকের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কাউন্সিলর মনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি ৩৫ বছর বয়সী আকরামুল হক ওরফে গুড্ডু। নগরীর চন্দ্রিমা থানার বনগ্রাম এলাকায় বাসিন্দা তিনি। তিনিও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার ডান পায়ে গুলি লেগেছে। এ কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রথমে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনি ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক (বহিস্কৃত) শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তরিক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির সঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম তরিকের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় স্থানীয় দুই যুবকের মারামারির ঘটনার আপস মিমাংসার শালিস বৈঠক বসে। সেখান থেকে দুইপক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরী হয়। এরই জের ধরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। দুপক্ষের মধ্যে ইঁপাটকেল নিক্ষেপ ও অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে ওই সময়। এরই এক পর্যায়ে গুড্ডু গুলিবিদ্ধ হন। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বিল্লাল উদ্দিন বলেন, ‘একরামুল হক গুড্ডুর ডান পায়ের হাটুর ওপরে গুলি লেগেছে। এর ক্ষত বড় হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। পরে রাতেই তাকে ঢাকায় নিয়ে রওনা হন পরিবারের লোকজন।’
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ কাজ শুরু করেছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। আহত গুড্ডুকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গুড্ডুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।