বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১১ বছরেও ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার আক্ষেপ শ্রমিকদের

  • প্রতিনিধি, সাভার   
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:৩২

তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনের ঘটনায় আহত শ্রমিক সবিতা রানী বলেন, ‘তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এক যুগ হয়ে গেলেও আমরা ক্ষতিপূরণ পেলাম না। আমাদের অনেক ভাই-বোন অসুস্থ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। এখনও অসুস্থতা নিয়ে অনেক শ্রমিক কষ্টে দিন পার করছে। এত বছরেও সরকার কিংবা বিজিএমইএ কেউই আমাদের খোঁজ রাখেনি। অবিলম্বে কারখানার মালিক দেলোয়ারের শাস্তিসহ আমাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানাই।’

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ১১তম বার্ষিকীতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তাদের পরিবারের সদস্য, আহত শ্রমিক, পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে পুড়ে যাওয়া কারখানার ফটকে শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় শিল্প পুলিশ। পরে আগুনে পুড়ে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

শ্রদ্ধা জানাতে এসে ঘটনার প্রায় এক যুগ পরও ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হওয়ায় আক্ষেপ করেন অনেক শ্রমিক। তাদের একজন অগ্নিকাণ্ডে আহত সবিতা রানী বলেন, ‘তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এক যুগ হয়ে গেলেও আমরা ক্ষতিপূরণ পেলাম না। আমাদের অনেক ভাই-বোন অসুস্থ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। এখনও অসুস্থতা নিয়ে অনেক শ্রমিক কষ্টে দিন পার করছে।

‘এত বছরেও সরকার কিংবা বিজিএমইএ কেউই আমাদের খোঁজ রাখেনি। অবিলম্বে কারখানার মালিক দেলোয়ারের শাস্তিসহ আমাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানাই।’

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কারখানার ভেতরে আগুনে পুড়ে মারা যান ১১১ শ্রমিক। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান আরও সাত শ্রমিক। ওই ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবনযাপন করছেন আরও শতাধিক শ্রমিক।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইনের দুর্বলতার কারণেই রানা প্লাজা, হাসেম ফুড ও তাজরীন গার্মেন্টসে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইনে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্ভব নয় বিধায় বারবার এমন ঘটনা ঘটছে, যার প্রমাণ হচ্ছে তাজরীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে এখন পর্যন্ত ৫৬টি কার্যদিবস পড়েছে, যার মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ মাত্র ছয়টি সাক্ষী হাজির করতে পেরেছে, যেখানে ১০৪ জনের মতো সাক্ষী রয়েছে।

‘আর প্রস্তুত না করেই রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সাক্ষীদের হাজির করায় নিহতদের পরিবারের বিচার পাওয়াটা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পুরাতন প্রচলিত আইনে যে এই ধরনের অপরাধের বিচার সম্ভব নয়, তা প্রমাণিত। তাই নতুন করে বিশেষ আইন তৈরি ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এই ধরনের অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব।’

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘তাজরীন অগ্নিকান্ডের ঘটনা একটি বেদনাদায়ক ঘটনা। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। বিচারকাজ যাতে তরান্বিত হয়, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি।

‘আমাদের সব রকমের প্রচেষ্টা থাকবে। এই ঘটনা আমাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, ইন্ডাস্ট্রি করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলোকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সেসব বিষয় খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর