আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
সোমবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করলেও দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা নির্বাচন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছি, তবে আমাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত নয়।’
রাজধানীতে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির।
চুন্নু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনমুখী দল হিসেবে আশা করছি একটি আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সব দল অংশ নেবে এবং ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করছি, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারবে যাতে এ আস্থা পেতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি আরও জানান, তাদের দল ৩০০টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্তে অনমনীয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, ‘দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর সময় এখনও আছে।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনও (ইসি) প্রয়োজনে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে পারে বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে জাপার দলীয় চেয়ারম্যানদের বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। প্রতি আসনের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার বলা হয়, আগামী ২৩ নভেম্বর বিকাল ৪টা পর্যন্ত জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হবে।
জাতীয় পার্টির টিকিট নিয়ে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেবেন তাদের ২৪ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হতে হবে।
২৭ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জাপা সূত্রে জানা গেছে।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে।