বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালের রাতে ফেনীর মহিপাল বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে রোববার রাত ৮টার দিকে সুগন্ধা পরিবহনের বাসে আগুন লাগে।
স্থানীয়রা জানায়, মহিপাল মহাসড়ক সংলগ্ন বাস টার্মিনালের সামনে দাঁড়ানো ছিল বাসটি। হঠাৎ করে কয়েকজন গিয়ে বাসে আগুন দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, তবে ততক্ষণে গাড়ির ভেতরে থাকা সিটসহ অবকাঠামোর অধিকাংশ পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রায় ২০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
বাসটির লাইন ম্যান আমির হোসেন বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ছুটে আসি। কে বা কারা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়, জানি না। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল।’
বাসটির চালক দাউদ বলেন, ‘হরতালের কারণে সারাদিন বাস চালানো হয়নি। বাস টার্মিনালেই দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ির বিভিন্ন মেরামত কাজ করানো হয়েছে। দাঁড়ানো গাড়িতেই অগ্নিসংযোগ করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।’
ফেনী-খাগড়াছড়ি আন্তজেলা বাসমালিক সমিতির সভাপতি মামুন চৌধুরী এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য হরতাল সমর্থকদের দায়ী করছেন।
অন্যদিকে এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী জড়িত ছিলেন না বলে দাবি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের।
তিনি বলেন, ‘সে এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা যাচাই করলে এ ঘটনার আসল রহস্য বের হবে।’
তবে এক পরিবহন নেতা বলেন, ‘ঘটনার সময় এখানকার সিসিটিভি ক্যামেরা রহস্যজনকভাবে বন্ধ ছিল।’
এ বিষয় ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মহিপাল এলাকায় আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করার জন্য আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি, কারণ ওই এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। একটি দোকানে ছিল, আজ দুপুর থেকে সেটিও নষ্ট হয়ে গেছে।’