মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ৮ বছরের শিশু বিথী আক্তার হত্যা মামলায় তিন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও তা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
নিহত বিথী আক্তার মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের উয়াইল এলাকার আব্দুর রশিদ মিয়ার মেয়ে।
দন্ডিতরা হলেন একই এলাকার কফিল উদ্দিন ও আওলাদ হোসেন এবং দেলোয়ার হোসেন।
বিবরণী থেকে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে শিশু বিথী আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আসামি কফিল উদ্দিন, আওলাদ হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন। পরদিন সকালে উয়াইল এলাকার একটি ভূট্টাক্ষেত থেকে বিথীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ এবং এ ঘটনায় নিহতের বাবা দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মামুনুর রশিদ ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কফিল উদ্দিন, আওলাদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্শিট দাখিল করেন। উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্ত প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায়ে রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুরনাথ সরকার বলেন, ‘মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে যাবজ্জীব কারাদন্ড দিয়েছেন বিচারক এবং দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় ওপর এক আসামি হেলাল উদ্দিনকে খালাশ দিয়েছেন।’
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী একে এম আজিজুল হক উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।