বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমতলীতে নারী ইউপি সদস্যের ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ

  • বরগুনা প্রতিনিধি   
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০০:১০

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের হেনা বুলবুলির ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে এ সার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলি গত ৩ বছর ধরে অবৈধভাবে সার মজুদ করে আসছেন। ওই সার তার স্বামী মজনু চৌকিদার ও ছেলে হাসান চৌকিদার এলাকার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

গত বুধবার তিনি (নারী ইউপি সদস্য) আমতলী থেকে দের’শ বস্তা ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার অবৈধভাবে ক্রয় করে উত্তর তক্তাবুনয়া গ্রামের বাড়ীতে মজুদ করেছেন। ওই সার থেকে তিনি গত তিন দিনে ৮৬ বস্তা সার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ কৃষকদের। রোববার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী থানা পুলিশ ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান অভিযান চালিয়ে নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ঘর থেকে ৬৪ বস্তা সার জব্দ করেছে। এর মধ্যে ৪১ বস্তা ইউরিয়া, ২৩ বস্তা টিএসপি ও এমওপি।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির স্বামী মজনু চৌকিদার ও তার ছেলে হাসান চৌকিদারের নামে সার বিক্রির লাইসেন্স নেই। তারা উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ডিলার নয়।

অবৈধ সার মজুদকারী ও বিক্রেতা হাসান চৌকিদার তার বাড়ীতে সার মজুদ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কীটনাশক বিক্রির লাইসেন্স আছে। তাই কীটনাশক বিক্রির পাশাপাশি সার বিক্রি করছি।

নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলি বলেন, আমার ছেলে কীটনাশকের ব্যবসা করে। ওই সঙ্গে সারও বিক্রি করে। আমার ছেলের নামে সার বিক্রির ক্ষুদ্র লাইসেন্স আছে।

আমতলী উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ৬৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী সদস্যের ঘর থেকে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত সার থানার আনা হচ্ছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রাসেল বলেন, ৬৪ বস্তা মজুদ সার নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ঘর থেকে জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, নারী ইউপি সদস্যের স্বামী ও তার ছেলের নামে সার মজুদ ও বিক্রির কোন ক্ষুদ্র লাইসেন্স দেয়া হয়নি। তারা অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রি করে থাকেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে সার বিক্রির সুযোগ নেই।

এ বিভাগের আরো খবর