প্রায় ১১০টি দেশ বাংলাদেশের জন্য ৩০১টি সুপারিশ পেশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন ইস্যু।
বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপ ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ অফ বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস রেকর্ডের খসড়া প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো গ্রহণ করে। খবর ইউএনবির
শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে নাগরিকদের ভোট দেয়ার এবং তাদের সরকার বেছে নেয়ার অধিকার রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সুপারিশ করেছে।
যুক্তরাজ্য সুশীল সমাজ, মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং গণমাধ্যমের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে, যাতে তারা প্রতিক্রিয়ার ভয় ছাড়াই মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এম সুফিউর রহমান ১২টি দেশসহ সব দেশকে ধন্যবাদ জানান, যারা উপযুক্ত প্রশ্ন পাঠিয়েছেন এবং প্রক্রিয়াটিতে সহায়তা করেছেন।
বাংলাদেশ সব সুপারিশ ‘সতর্কতার সঙ্গে যাচাই’ করবে এবং ফেব্রুয়ারিতে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ইউপিআর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দানকারী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার বলেন, মোট ১১১টি দেশ বৈঠকে অংশ নিয়েছে এবং ৯০ শতাংশ দেশ মানবাধিকার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।
তিনি বলেন, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশের বড় ধরনের সমালোচনা করেনি, বরং তারা কিছু গঠনমূলক সুপারিশ নিয়ে এসেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ মানবাধিকার ইস্যুতে সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানবাধিকার কাউন্সিলের সার্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা বাংলাদেশের জন্য কেবল শব্দে মানবাধিকারের প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার সুযোগ নয়, মানবাধিকার রক্ষাকারী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধে জরুরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণেরও সুযোগ।