বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরেফিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

  • প্রতিনিধি, গাজীপুর   
  • ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ২০:০৬

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে বাইডেনের ‘কথিত’ উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কখনো দেখা বা কথা হয়নি তার ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দেয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির। তবে, ২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় ১০ থেকে ১৫ জনের একটি জুম মিটিংয়ে বাইডেনের স্ত্রীর সঙ্গে তার দেখা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ।

এর আগে বেলা ১১টা ৪০ ডিবি প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম কারাগারের গেটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম হাইসিকিউরিটি ইউনিটে আসে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘কথিত’ উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আড়াইটার দিকে তারা কারাগার ত্যাগ করেন।’

পরে কারাগারের মূল ফটকের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, ‘ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ হাসপাতালে হামলা, পুলিশকে আঘাত করা, একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা ও সন্ধ্যায় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে সঙ্গে নিয়ে হাসান সোহরাওয়ার্দীর পার্টি অফিসে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন একসূত্রে গাঁথা। এর সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা জড়িত। আমরা তাদের অনেককে ধরে এনেছি, জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের পর তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কিছু বিষয়ের উত্তরও পেয়েছি। তবে, কিছু বিষয় অস্পষ্ট ও দ্বিমত থাকায় আমরা কারাগারে আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে আরেফি বলেছেন, তিনি ওই সেনা কর্মকর্তার ট্র্যাপে পড়েছেন। তার কথাতেই মিথ্যা পরিচয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন আরেফি।

‘তিনি আমাদের জানান, তাকে দেশে এনে বিভিন্ন নেতাকর্মীর নম্বর দেয়া হয়। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আব্দুল আউয়াল মিন্টুর নম্বর দিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। তিনি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসায়ও যান। এসব কাজ করতে সহায়তা করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।’

এই কাজগুলো করার পেছনে আরেফির কী উদ্দেশ্য বা লাভ ছিল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, ‘তার লাভ বলতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ভালো অবস্থানে যাবেন। তখন তাকে দিয়ে তিনি লাভবান হবেন বা ভালো কিছু পাবেন। এসবের জন্যই এটি করেছেন। তবে আরেফি স্বীকার করেছেন যে, তিনি বুঝতে পারেননি, তার সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। এখন তিনি অনুতপ্ত।’

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে বাইডেনের ‘কথিত’ উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক আরেফী। তিনি নিজের পরিচয় দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ হিসেবে। ২৯ অক্টোবর রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরেফিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর