চট্টগ্রামের কোতোয়ালীতে পরপর পাঁচ থেকে ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কোতোয়ালী থানার আট মার্চিং মোড়ে ফোর স্টার সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় অবিস্ফোরিত একাধিক ককটেল ও পেট্রলবোমাসহ একজনকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম মো. তৌহিদুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সেখানে কয়েকটা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের টিম ঘটনাস্থলে আছে, হাতেনাতে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে অবিস্ফোরিত একাধিক ককটেল ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।’
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, ‘ওই এলাকায় ছাত্রদল, যুবদল এবং শ্রমিক দলের ২৫ থেকে ৩০ জন সমর্থক দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় একটি গাড়ির কাচও ভাঙচুর করে তারা।
‘আশেপাশে দায়িত্বরত টহল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে একজনকে আটক করে। আশেপাশে তল্লাশি চালিয়ে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও দুটি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।’
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামে একাধিক যানবাহনে আগুন দিয়েছে অবরোধের সমর্থনকারীরা।
এদিন ভোরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে রাঙ্গুনিয়ার চৌধুরী গোট্টা এলাকায় গাছের ব্যারিকেড দিয়ে একটা পাথরবোঝাই ট্রাকে আগুন দেয়া হয়। এ সময় আরেকটি ট্রাক ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা।
এরপর সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কেও ব্যারিকেড দিয়ে থামিয়ে একটি বাস ভাঙচুরের পর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে অবরোধের সমর্থকরা।
এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন।
একই দিন ভোরে মীরসরাইয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে বারইয়ারহাট পৌরসভা এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লোকজন। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে মিছিল শেষ করে স্থান ত্যাগ করেন নেতাকর্মীরা।
অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও চট্টগ্রামে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।