রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর আয়োজিত বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছিল তা ধামাচাপা দিতে সরকার প্রধান সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সূত্র: ইউএনবি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (২৮ অক্টোবরের সহিংসতা নিয়ে) যা বলেছেন তা ছিল মিথ্যার অপ্রতিরোধ্য স্রোত। আমি বলতে চাই, ২৮ অক্টোবর যা ঘটেছে তার সব ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।
‘প্রযুক্তির এই যুগে কোনো ঘটনাই এখন রেকর্ডের বাইরে নেই। অনথিভুক্ত বা মানুষের দৃষ্টির বাইরেও থাকে না। আপনি পুলিশি সুরক্ষায় বিভিন্ন মিথ্যা বলতে পারেন। কিন্তু সত্য ঢাকতে পারবেন না।’
মিথ্যাচার, নাটক ও ভিডিও তৈরি করে সরকার সত্যকে ধামাচাপা দিতে পারবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি সরকারকেও বলতে চাই, সব তথ্য এখন পাওয়া যাচ্ছে।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত বিশাল সমাবেশটি পূর্ব দিকে নটরডেম কলেজের কাছে এবং পশ্চিম পাশে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত শাহবাগের কাছে পৌঁছে যায়।
‘এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী বাস ও ট্রাকগুলো সেখানে (কাকরাইল) গেল কীভাবে? সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করার জন্য এটা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কিছু লোক পুলিশি পাহারায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনের প্রধান ফটক ও অন্যান্য স্থাপনা ভাংচুর করছে।
‘আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সামনে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন কীভাবে বাসচালককে ব্যবহার করে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় তার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেলজিয়াম সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি-জামায়াত চক্র সন্ত্রাসী। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। ২৮ অক্টোবর সহিংসতার মাধ্যমে বিএনপি আবারও তা প্রমাণ করেছে।’