আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রোববার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এরপর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৭৮৭টি যানবাহন টানেল পাড়ি দিয়েছে। এসব যানের বিপরীতে টোল হিসেবে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৫০ টাকা আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টানেলের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস।
প্রকৌশলী ফেরদৌস বলেন, ‘সকাল ৬টার দিকে টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এরপর দুপুর ২টা পর্যন্ত টানেলের দুটি টিউব দিয়ে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৭৮৭ টি যানবাহন পার হয়েছে৷ এতে টোল আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৫০ টাকা।’
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৪৮৬টি গাড়ি টানেল পার হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরদিনই সকাল ৬টা থেকে টানেল খুলে দেয়ার কথা ছিল। প্রথম সাধারণ মানুষ হিসেবে টানেল পাড়ি দিতে রাত তিনটা থেকেই দুই প্রান্তে অপেক্ষায় থাকেন অনেকে।
টানেল খুলে দেয়ার পর প্রথম বাস হিসেবে আনোয়ারা প্রান্ত থেকে ‘বিডি বাস লাভার’ নামের একটা গ্রুপকে নিয়ে টানেল পাড়ি দেয় মারসা পরিবহনের একটি বাস।
ওই বাসের যাত্রী রিয়াদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম গণপরিবহনের যাত্রী হিসেবে টানেল পাড়ি দিয়ে গর্বিত আমরা। আমরা প্রায় রাত তিনটা থেকে অপেক্ষায় ছিলাম এখানে।’
শনিবার বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে টানেল উদ্বোধনের মাধ্যমে খুলল দেশের দখিনা দুয়ার। শুধু দেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত এটিই প্রথম টানেল।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং টানেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের প্রথম টিউবের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
টানেলটির নির্মাণ কাজ করছে চীনা কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। শুরুতে প্রকল্প ব্যয় ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা ধরা হলেও ২০১৭ সালে তা বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা করা হয়।