সরকার পতনের একদফার আন্দোলনে সমাবেশ করতে গিয়ে মাঝপথে তা পণ্ড হয়ে যাওয়ায় হরতালের ঘোষণা দেয়া বিএনপির প্রধান কার্যালয় এখন কার্যত শূন্য। নয়াপল্টনের এ কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। নেই কোনো নেতা-কর্মী। তবে সেখানে সতর্ক পুলিশ।
রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিএনপির এই সকাল-সন্ধ্যার হরতাল। দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে বাসে আগুনের মতো ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। তবে নয়াপল্টন মোড় ও দলটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ আশপাশের এলাকার চিত্র কিছুটা স্বাভাবিক।
সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ, পল্টন, কাকরাইল, বায়তুল মোকাররম, প্রেসক্লাবের সামনে ও সড়ক ভবনসহ কয়েকটি এলাকায় গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। সড়কে প্রচুর রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা। আছে মোটরসাইকেলও। তবে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি বেশ কম।
সড়কের একটুর পর পর পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। সতর্ক আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। পল্টন এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের কয়েকটি গাড়ি দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রায় প্রতিটা গলির মুখেই পুলিশ সদস্যরা আছেন। তবে চেকপোস্ট আগের দিনের চেয়ে কমেছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সকালে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। এ কার্যালয়ের সামনে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে। তবে সেখানে দলীয় কোনো নেতা-কর্মী নেই। কার্যালয়ের সামনের অংশটি বেষ্টনী নিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। ইট-পাটকেল না থাকলেও আগের দিনের ভাঙচুর করা কাচের টুকরো লেগে আছে সড়কে।
কার্যালয়ের সামনে বেষ্টনী দেয়া অংশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। পুলিশের এক কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নয়াপল্টন এলাকায় বেশ কিছু দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে। খুলেছে এ এলাকার অনেক অফিসও। খোলা আছে খাবার দোকান ও নিত্যপণ্যের দোকানগুলো। নয়াপল্টন মোড় থেকে একটু এগোলেই কালভার্ট রোড, সেদিকেও দোকানপাট খুলেছে।