বিএনপির ডাকা সারা দেশের হরতালে শিল্পাঞ্চল সাভারের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল ছিল খুবই কম। গণপরিবহন বলতে রিকশাই যেন একমাত্র ভরসা সাধারণ মানুষের, তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের হরতাল বিরোধী সতর্ক অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে সতর্ক অবস্থানে।
রোববার সকাল থেকেই সাভার ও আশুলিয়ায় ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ছিল ফাঁকা। অন্যান্য শাখা সড়কের চিত্রও ছিল একই।
সাভারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রোববার সকাল ৮টা নাগাদ আশুলিয়ার বাইপাইল, নবীনগর, পল্লীবিদ্যুৎ, ইপিজেড, শ্রীপুর, সাভার, হেমায়েতপুর, গেন্ডাসহ কারখানাগামী গার্মেন্টস শ্রমিকদের জটলা ছিল। অনেক কারখানা তাদের নিজস্ব গাড়িতে শ্রমিকদের পরিবহনের ব্যবস্থা করলেও বেশিরভাগ শ্রমিকের একমাত্র ভরসা ছিল রিকশা, তবে সড়কে মাঝেমধ্যে কিছু লোকাল বাস চোখে পড়লেও দূরপাল্লার বাস দেখা যায়নি।
গার্মেন্টস শ্রমিক মো. মাহবুব বলেন, ‘সকাল থেকে আজ সড়কে গাড়ি অন্যদিনের তুলনায় কম। আমরা অনেক শ্রমিক একটা রিকশায় ৩ থেকে ৪ জন ওঠে তারপর কারখানায় গেছি। আর মাঝেমধ্যে একটা বাস এলেও সেটাতে অনেক মানুষের ভিড় ছিল।’
রাজধানীতে চাকরিজীবী খাইরুল মামুন বলেন, ‘হরতালের কারণে আজ সাভারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাস ছিল না বললেই চলে। আমি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সাভার পরিবহনের একটা বাস পেলেও সেটাতে অনেক ভিড় ছিল, তবে যানজট না থাকায় এক ঘণ্টায় আমি শ্যামলীতে পৌঁছেছি।’
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘সাভারে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার পাওয়া যায়নি, তবে শনিবার রাতে থেমে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আজ সড়কে যাতে যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে এজন্য পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। জনগণের নিরাপত্তায় আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’