বিএনপির পর এবার জামায়াতে ইসলামীও রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। সারা দেশে সংগঠনর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে দেশের রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি পুলিশের হামলায় মহাসমাবেশ পণ্ড করার অভিযোগ এনে রোববার সারাদেশে হরতাল আহ্বান করে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার শাপলা চত্বরে জামায়াত ঘোষিত শনিবারের মহাসমাবেশ বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের পক্ষ থেকে এম আর করিম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘মিটিং-মিছিল করা যে কোনো রাজনৈতিক দলের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। জামায়াতের মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বাস, লঞ্চ ও ট্রেন থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ বেআইনি, অগণতান্ত্রিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। আমি সরকারের এই অন্যায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সে সঙ্গে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং জামায়াত ঘোষিত শনিবারের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদান ও মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর রবিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘হরতালের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য আমি সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি এবং দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।’
হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, মিডিয়া-সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।