বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অপশক্তিকে নিয়ে ফাউল করা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ঢাকায় খেলা হচ্ছে, চট্টগ্রামেও খেলা হচ্ছে। ফখরুল অপশক্তিকে নিয়ে ফাউল করা শুরু করেছে। লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে এরা মাঠে নেমেছে। চালের বস্তা, ডালের বস্তা, আটার বস্তা নিয়ে আজকে ওরা ৭ অক্টোবর পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে৷ এরা ফাউল করছে, এদের লালকার্ড দেখাতে হবে।’
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এদের (বিএনপির) সঙ্গে কোনো আপোষ নেই, এরা দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। এরা অর্থ পাচারকারী। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে! সামনে কোয়ার্টার ফাইনাল আর জানুয়ারিতে ফাইনাল।’
ফের খারাপ সময় এসেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আবার খারাপ সময় আমাদের ভাগ্যের কাছে এসেছে। আবার একাত্তরের পরাজিত শক্তি আমাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ক্ষমতা থেকে হটানোর চক্রান্ত করছে। যার নেতৃত্বে এই চট্টগ্রামের আমির খসরু, ওই ফখরুল। এরা শয়তানদের নেতা, এরা শয়তানি করছে। আজকের দেশের বিরুদ্ধে এত জ্বালা কেন? এত জালা! টানেল দেখে জ্বালা! দক্ষিণ ইশিয়ায় হয় নাই, ভারতে হয় নাই, পাকিস্তানে হয় নাই, নেপালে হয় নাই, শ্রীলঙ্কায় হয় নাই। হয়েছে বাংলাদেশ।’
এ সময় দলীয় ঐক্যে জোর দিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়ে নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা একমত না। একজন একজনকে ঠেকাচ্ছে, এই ঠেকানোটা বন্ধ করেন। কার ইতিহাস কী তা নেত্রীর কাছে জমা আছে। প্রত্যেকের রিপোর্ট নেত্রীর কাছে জমা আছে। নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে চা দোকানে বসে বাজে সমালোচনা করবেন। এদের খোঁজখবর আমরা নিচ্ছি। এদের বিরুদ্ধে পার্টি ব্যবস্থা নেবে। দল করবেন দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। শৃংখলার না মানলে তো খেলায় জিতবেন না। শৃঙ্খলা মানতে হবে। জিততে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন আমরা অবতীর্ণ। আজকে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। কারণ বিজয়কে আমরা আজও সংহত করতে পারিনি। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন, আমরা বিজয়ী হয়েছি বিজয়কে সংহত করতে পারেনি। আমাদের বিজয়কে সংহত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বিজয় দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে শক্তি আমাদের বিজয়ের মুকুট ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
‘ইনডেমনিটি আইন করে জিয়াউর রহমান এই হত্যার বিচার বন্ধ করে দিয়েছে। হত্যাকারীদের অব্যাহত দিয়েছে। জিয়াউর রহমান ১৫ ই আগস্টের আসল খুনি, জেল হত্যার আসল খুনি। একুশে আগস্ট আজকের প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকার কথা ছিল না। টাকের একটি ডালা যদি লেগে গ্রেটটা বিস্ফোরিত হতো, তাহলে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আমরা পেতাম না। আমাদের সৌভাগ্য মহান আল্লাহ পাক দুইজনকে মারলেন না। শেখ হাসিনাকে মারলেন না, শেখ রেহানাকে মারলেন না। কারণ বেগম মুজিব যেমন বঙ্গবন্ধুর সহযোগী। তেমনি শেখ রেহেনা ও বঙ্গবন্ধু কন্যার দুঃসময়ের সহযোগী।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।