চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বেলা ১১টা ৪১ মিনিটে টানেলটি উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন।
টানেল উদ্বোধনের দিন (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, খাম ও বিশেষ সিলমোহর অবমুক্ত করবেন। টানেলটি রোববার থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে বন্দর নগরীতে নেয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। চট্টগ্রাম সিটি করপোশেনের (চসিক) উদ্যোগে পুরো নগরীকে পরিপাটি করে তোলা হয়; সাজানো হয় ভিন্ন আমেজে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে যায় নগরী ও আনোয়ারা প্রান্তের রাস্তাঘাট। পতেঙ্গা প্রান্তে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে স্থাপন করা হয় বঙ্গবন্ধুর নান্দনিক ম্যুরাল।
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বন্দর নগরীর বাসিন্দাদের স্বপ্ন সত্যি হলো এ টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম টানেল বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক অর্থায়ন করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। টানেলের পুরো রুটের দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার (৫.৮৩ মাইল)। সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) ও ব্যাস ১০.৮০ মিটার (৩৫.৪ ফুট)। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের নেটওয়ার্ক উন্নততর হবে।
চীনের কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এটি নির্মাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা টানেলটির বোরিং ফেজও উদ্বোধন করেন।