বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশের আগের দিন শুক্রবার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শতাধিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি দেখা গেছে।
সুরক্ষা পোশাক পরে পুলিশের বেশ কিছু সদস্যকেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে বিএনপি কার্যালয় এলাকায়।
বেলা ১১টার দিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। ওই সময় বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে দেখা গেছে, যাদের কেউ কেউ হাত নেড়ে জানাচ্ছিলেন নিজেদের উপস্থিতি। নেতা-কর্মীদের ভিড়ের মাঝে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি দেখা মেলে বিএনপির দলীয় পতাকার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার রাজধানীতে সমাবেশ ডেকেছে বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সবারই লক্ষ্য বিপুল নেতা-কর্মীর সমাগম।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করতে দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দলকেই অনুমতি দেয়া হয়নি।
ডিএমপির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই দল তাদের সমাবেশের পরিকল্পনা আমাদের জানিয়েছে। ডিএমপি তাদের ওপর আস্থা রেখে পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার দুই দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হতে পারে।’
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করতে দুই দল ও পুলিশের মধ্যে চিঠি চালাচালির পর অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অনুমতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হবে, তবে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে। বিশৃঙ্খলা করলেই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ আয়োজনের অনুমতির প্রশ্নে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে রয়েছে ডিএমপি। দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের খবর পাওয়া যায়নি।