বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা: যা বললেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

  • প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ   
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ২২:৪২

কলেজছাত্র শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘আমি নিজ চোখেই ১৫টি লাশ দেখেছি। ট্রেনের নিচে চাপা পড়া আরও কয়েকজনকে দেখেছি, যাদের কারও হাত কারও পা বের হয়ে আছে। ট্রেনটি পুরোপুরি উদ্ধার হলে আরও লাশ বেরিয়ে আসবে।’

কিশোরঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেনকে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরবের জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনকে ধাক্কা দেয় একটি মালবাহী ট্রেন। দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তি এই দুর্ঘটনা ও তার পরের পরিস্থিতির যে বর্ণনা দিয়েছেন তা এককথায় ভয়াবহ।

ভৈরবে বসবাসকারী বাজিতপুরের কলেজছাত্র শাহরিয়ার রহমান জানান, তার স্ত্রীর বড় ভাই নীরব এগারসিন্দুর ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি গিয়ে নীরবকে নিয়ে আসেন।

শাহরিয়ার বলেন, ‘আমি নিজ চোখেই ১৫টি লাশ দেখেছি। ট্রেনের নিচে চাপা পড়া আরও কয়েকজনকে দেখেছি, যাদের কারও হাত কারও পা বের হয়ে আছে। ট্রেনটি পুরোপুরি উদ্ধার হলে আরও লাশ বেরিয়ে আসবে।’

এই কলেজছাত্র জানান, তিনিসহ উপস্থিত লোকজনের অনেকেই উদ্ধার কাজে অংশ নিতে চেয়েছেন। কিন্তু র‍্যাব ও পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের কাছে যেতে দেয়নি। অবশ্য ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষ ভিড় করায় তাদের সামলাতে র‍্যাব ও পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে জেনেছেন তিনি।

আহতদের রক্ত দিতে প্রস্তুত অনেকেই

বিভিন্ন মাধ্যমে ভৈরবে রেল দুর্ঘটনার খবর জেনেছেন কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার উবায়দুল হক জুয়েল। এই তরুণ কিশোরগঞ্জ ব্লাড ব্যাংকের সদস্য। এই ব্লাড ব্যাংকে দুই হাজারের বেশি সদস্য রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর জানার পরই ফেসবুকে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে কারও রক্তের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছি। মানবিক কারণেই এখন আহতদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ অনুভব করেই তাদের জন্য কিছু করতে চাচ্ছি। যে কারও রক্তের প্রয়োজন হলেই আমরা সাড়া দিতে প্রস্তুত।’

শহরের নগুয়া এলাকার উবায়দুল হক জুয়েলও কিশোরগঞ্জ ব্লাড ব্যাংকের সদস্য। তিনিও আহতদের রক্ত দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন।

তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর জানার পরই ফেসবুকে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে কারও রক্তের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন।

নিহতদের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে।

দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর