বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

  • প্রতিনিধি, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৭:২৬

ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে শুরু হওয়া এমন বিক্ষোভে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজট ও দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশের কয়েক দফার ধাওয়া ও টিয়ারসেল নিক্ষেপে শতাধিক শ্রমিক আহত হন।

বেলা আড়াইটার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হলে মহাসড়কে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকার কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের দাবিতে মানেননি।

অন্য দিনের মতো সোমবার সকালে কাজে যোগ দেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তারা কাজে যোগ দিয়েই বেতন বৃদ্ধির দাবি কনরে। ওই দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করতে থাকেন শ্রমিকরা। এরপরও কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করলে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

বে ফুটওয়ার কারখানার শ্রমিকরা একই দাবিতে ভেতরে ভাঙচুর চালান। এক পর্যায় পূর্বাণী গ্রুপের একটি কারখানা ও বে ফুটওয়ার কারখানার উত্তেজিত শ্রমিকরা পাশের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে আশপাশের লগোজ অ্যাপারেলস, হাইড্রো অক্সাইড সোয়েটার কারখানা, এপিএস অ্যাপারেলস, রহমত টেক্সটাইল, সাদমা নীট কারখানাসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরাও একাত্বতা ঘোষণা করে তারাও মহাসড়কে অবস্থান নেন।

এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা মহাসড়কের ওপর শুয়ে, বসে ও দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

খবর পেয়ে শিল্প-পুলিশ ও মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু মহাসড়ক ছাড়তে বললে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং মহাসড়কে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ধাওয়া ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন শ্রমিকরা।

ছত্রভঙ্গ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এভাবে কয়েক দফায় পুলিশের ধাওয়া ও টিয়ারসেল নিক্ষেপে বেলা আড়াইটার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে যান শ্রমিকরা। এ ঘটনায় প্রায় শতাধিক শ্রমিক আহত হন। আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে আহতদের নাম জানা যায়নি। এরপর ধীরে ধীরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার পর এসব পোশাক কারখানা একদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, চাল, ডাল, চিনি, তেল ও সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় বর্তমান বেতনে তাদের সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। এ জন্য বেতন বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর