ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে কুড়িগ্রামবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার চিলমারী নৌবন্দরে ফেরি চালু হলেও একমাস যেতে না যেতেই ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রামের সঙ্গে সারাদেশে নৌপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও চিলমারী নৌবন্দরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরেয়ে আনতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ফেরি চালু ও বন্দরের উন্নয়নের কাজের উদ্বোধন করা হয়।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে মাত্র ২৫দিনের মাথায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি দিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় প্রায় অধর্শতাধিক পণ্যবাহি পরিবহন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমিক ও চালকেরা।
রৌমারী ঘাটে থাকা পল্টুনের র্যামের নিচে মাটি ভেঙে যাওয়ায় সাময়িকভাব ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবী।
জানা গেছে, চিলমারী-রৌমারী ঘাট দিয়ে নিয়মিত কুঞ্জলতা এবং বেগম সুফিয়া কামাল নামে দুটি ফেরিতে পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন প্রকার পরিবহনের পাশাপাশি যাত্রী পারাপার করে।
শনিবার বিকেলে চিলমারী ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল রৌমারী ঘাটে পৌঁছানার পর ফেরি থেকে দুটি পণ্যবাহী ট্রাক নামতে পারলেও পল্টুনের র্যামের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় বাকি পরিবহনগুলি নামতে পারেনি। ফলে শনিবার বিকেল থেকে ওই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের রমনা ঘাট এলাকায় গিয়ে ৪০টি পণ্যবাহী পরিবহনকে সারিবদ্ধ হয় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভূরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থল বন্দর থেকে পাথর নিয়ে আসা চালক জাহিদ হাসান ও লালমনিরহাট জেলা থেকে আসা মমিনুল ইসলামসহ অনেকে জানান, এর আগে যখন তারা এসেছিলেন তখনও দুর্ভোগে পড়েছিলেন তারা। এবারও দুর্ভোগে পড়তে হলো। এরকম হলে পরবর্তীত তারা আর এ পথ আসবেন না বলেই জানালেন তারা।
এই পথ পণ্য নিয়ে যাওয়া-আসার জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছিল। দিন দিন এই পথে পরিবহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আজকে এই দুর্ভোগের শিকার হতে হলো বলে জানালেন পরিবহন চালকেরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ম্যানেজার বাণিজ্য প্রফুল্ল চহান বলেন, ‘রৌমারী ঘাটের মাটি ভেঙে যাওয়ায় আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাট মেরামতের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।’
বিআইডব্লিউটিসির সিরাজগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, রৌমারী ঘাটে পল্টুনের র্যামের নিচে মাটি সরে যাওয়ায় সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাটে মাটি ভরাটের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ হলেই ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।