গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ঠিক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি শহীদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করে দেন।
শনিবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, মামলাটির শুনানি শেষ রায়ের জন্য ৩০ আগস্ট দিন ঠিক করে রেখেছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দা শবনম মুস্তারি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ১১ অক্টোবর বুধবার এ মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। পরে আদালত রায়ের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ঠিক করে দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেলসহ উচ্চ পর্যায়ের আইন কর্মকর্তারা মামলাটি শেষ করতে সচেষ্ট ছিলেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জোরালো সাবমিশন রেখেছি। প্রত্যাশা করছি, এ হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকবে।’
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাতজনই এখন কনডেম সেলে রয়েছে। এর মধ্যে চারজন নিয়মিত আপিল করেছেন, তবে বাকি তিনজনেরও আপিল ছিল বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলায় বিদেশী নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করে। রায়ে সাত জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত।
এরপর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে পাঠায় বিচারিক আদালত।
হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানির জন্য নিয়ম অনুযায়ী পেপারবুক তৈরি করতে হয়। পেপারবুক তৈরি হলে প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ দিলে সেখানে মামলার শুনানি হয়।
বিচারিক আদালতে হলি আর্টিজান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপন। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করে আদালত।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান খালাস পান।
এ মামলায় চলতি বছরই রায় ঘোষণা হবে- এমনটি পূর্বেই জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তিনি বলেছিলেন, ‘এ মামলার আসামিদের ব্যাপারে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স, সেটা কিন্তু পুরো পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে। এখানে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আশা করছি, হাইকোর্ট বিভাগে আসামিদের সাজা বহাল থাকবে।’