বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্যালক-শ্যালিকার মারধর, এজেন্সি মালিকের মৃত্যু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ২১:০৩

এম বাহারের স্ত্রী জয়নব বলেন, ‘আমার বোনের জামাই জাকের, ছোট ভাই ইউনুস ও বোন ফাতেমা বেগম আমার চোখের সামনে স্বামীকে হত্যা করেছে। ওরা তিনজন আমার স্বামীর মাথায় অনেক কিল-ঘুষি মারে এবং গলা টিপে ওয়ালের সঙ্গে ধরে রাখে। এক পর্যায়ে আমার স্বামী নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’

রাজধানীতে শ্যালক, শ্যালিকা ও তার স্বামীর (ভায়রা) মারধরে এম বাহার নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শান্তিনগরের বাহার ওভারসিজ অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি বাহার ওভারসিজের মালিক। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায়। বর্তমানে ১৪২/১ বাসা নম্বর শান্তিনগর প্লাজায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।

এম বাহারের স্ত্রী জয়নব বলেন, ‘আমার বোনের জামাই জাকের, ছোট ভাই ইউনুস ও বোন ফাতেমা বেগম আমার চোখের সামনে স্বামীকে হত্যা করেছে। ওরা তিনজন আমার স্বামীর মাথায় অনেক কিল-ঘুষি মারে এবং গলা টিপে ওয়ালের সঙ্গে ধরে রাখে। এক পর্যায়ে আমার স্বামী নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

‘আমার স্বামী আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তার হার্টে দুটি ব্লক রয়েছে। অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখন চিকিৎসক জানান যে ইতোমধ্যে আমার স্বামী মারা গেছেন।’

জয়নব বলেন, ‘আমার বোনের জামাইয়ের দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। তাকে বলা হয়েছে, আজ শনিবার ভোর ৫টায় ফ্লাইট। এয়ারপোর্টে তিন ঘণ্টা আগে আসতে হবে। কিন্তু তিনি ভেবেছেন বিকেল ৫টায় ফ্লাইট! এ কারণে তিনি ফ্লাইট মিস করেন। এ নিয়ে অফিসের মধ্যে আমার স্বামীর সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা কিল-ঘুষি মেরে আমার স্বামীকে মেরে ফেলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী বার বার চিৎকার করে বলছে- ফ্লাইট মিস হয়েছে তাতে কী? ৪০-৫০ হাজার টাকা দণ্ডি হবে, সেটা আমি দেখব। কিন্তু তারপরও তারা আমার স্বামীকে মারধর করে হত্যা করলো। তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এটা করেছে। এ বিষয়ে ওদের তিনজনের বিরুদ্ধে আমি রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করব।’

জয়নব বলেন, আমার চোখের সামনে তাকে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু আমি কিছুই করতে পারিনি। আমার ছয় বছরের একটা ছেলে আছে। সে বাবা ছাড়া কিছুই বোঝে না। এই অবুঝ শিশুটিকে আমি কী বুঝ দেবো?’

বাহার ওভারসিজে কর্মরত মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের চোখের সামনেই ঘটেছে। যেহেতু তাদের পারিবারিক বিষয় সেজন্য আমরা কিছু বলতে পারিনি। তাদের ভোর ৫টার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু তারা মনে করেছে বিকেল ৫টা! এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।’

রমনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ওসমান মাসুম বলেন, ‘কী ঘটেছে, কেন ঘটেছে এবং কীভাবে বাহার মারা গেছেন সে বিষয়ে নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জেনেছি। আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

‘এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর