হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শনিবার সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। ভোর চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয় শক্তির দশভুজা দেবীকে।
মহালয়া দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনা শুরু হয়। হিন্দু ধর্ম মতে, মহালয়ায় দেব-দেবীকুল দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। এ দিন সূর্যোদয়ের সময় মন্দিরে মন্দিরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন করা হয়।
পুরাণে বলা আছে, এমন দিনে পিতৃলোকে যেসব পুরুষরা আছেন, তাদের অন্তরীক্ষ লোক থেকে অনেকটাই নিচে নেমে আসেন। এই দিনে তাদের বংশধররা তাদের তিল-জল অর্পণের সুযোগ পান।
মহালয়ার দিনের এই লগ্নে পূর্বপুরুষদের সম্মানে বিশেষ শ্রাদ্ধের বিধান রয়েছে। পিতৃপুরুষের তর্পণের জন্য এটি অত্যন্ত পুণ্য লগ্ন। উত্তরাধিকারীরা সপিণ্ডীকরণ করেন। অনেকে শ্রাদ্ধ করার সুযোগ পান না।
ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে ২০ অক্টোবর দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। ২৪ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব। পঞ্জিকামতে, দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে পৃথিবীতে আসবেন। দেবী বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায়। যার ফল হচ্ছে এ বছর ফসল ও শস্যহানি হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। গত বছর পূজা হয়েছিল ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে। অর্থাৎ এবার ২৪০টি মণ্ডপ বেড়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৪৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন থাকছে, যা গতবার ছিল ২৪২টি।
মহালয়ার তাৎপর্য নিয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কমিটির উপদেষ্টা পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, এ দিন পিতৃপুরুষেরা মর্ত্যলোকের কাছাকাছি চলে আসেন। তারা তৃষ্ণার্ত থাকেন। এ দিন তর্পণের মাধ্যমে তাদের জলদান করা হয়। রোববার থেকে শুরু হবে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ।’