বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যেকোনো সিন্ডিকেট ভাঙার সক্ষমতা আছে ডিএমপির: কমিশনার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ১৪:০৬

সিন্ডিকেটের পেছনে রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে কি না এবং সেটি ভাঙা সম্ভব কি না জানতে চাইলে ডিএমপির প্রধান বলেন, ‘আমাদের কাছে সিন্ডিকেটের বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক অপতৎপরতা কারোর আছে, এটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আছে। তারা কাজ করছেন। যদি এই ধরনের কোনো কিছু আমাদের কাছে আসে, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, যেকোনো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যেকোনো অবস্থায় তৎপর।’

যেকোনো সিন্ডিকেট ভাঙার সক্ষমতা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আছে বলে দাবি করেছেন কমিশনার হাবিবুর রহমান।

ডিএমপি সদরদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় তিনি এমন দাবি করেন।

সভায় বাজারে দ্রব্যমূল্য তদারকির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা থাকবেন বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তার ভাষ্য, ‘আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যেই মনিটরিং কমিটি যারা আছে, তাদের সঙ্গে পুলিশও থাকবে। প্রয়োজনে বড় বড় বাজারে সিটি করপোরেশনের সাথে আমাদের পুলিশও অংশগ্রহণ করবে যাতে যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়।’

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর স্বল্পতা নেই মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাজারে কোনো জিনিসের স্বল্পতা নেই। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে সংকট তৈরি হয়।

‘আগে দৌলতদিয়া ঘাটে অনেক কাঁচামাল আটকে থেকে পচে যেত। পদ্মা সেতু হওয়ার পর সেখানে এখন আর কোনো মালামাল আটকে থাকছে না।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বাজারে অস্থিতিশীলতার শঙ্কায় রয়েছেন কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো শঙ্কা নেই। সমন্বয়ের কিছুটা অভাব রয়েছে। আমাদের যেই মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে, এটা ভোক্তা অধিকার বা পুলিশের পক্ষে একা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

‘বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারিত হয় চাহিদা, জোগানের ভিত্তিতে। সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশ তাল মিলিয়ে চলছে।’

তিনি বলেন, ‘যেই অপতৎপরতা আমরা দেখতে পেয়েছি সকল জিনিসের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। কোনো ব্যবসায়ী বলেনি কোনো পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সব পাওয়া যাচ্ছে এবং যেই দাম, তা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হচ্ছে।’

বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা আছে বলে মনে করেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘সবজি উৎপাদনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। আমাদের এমন থাকার কথা নয়। যেই বিষয়টি তা হলো সমন্বয়ের অভাব। সবাই একসাথে কাজ করলে, সবাই সহযোগিতা করলে তখন অবশ্যই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’

সিন্ডিকেটের পেছনে রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে কি না এবং সেটি ভাঙা সম্ভব কি না জানতে চাইলে ডিএমপির প্রধান বলেন, ‘আমাদের কাছে সিন্ডিকেটের বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক অপতৎপরতা কারোর আছে, এটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আছে। তারা কাজ করছেন।

‘যদি এই ধরনের কোনো কিছু আমাদের কাছে আসে, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, যেকোনো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যেকোনো অবস্থায় তৎপর এবং যেকোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার জন্য সেই সক্ষমতা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রয়েছে।’

সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘আমরা যখন বাজার মনিটরিংয়ে যাই, তাদের এখানে মূল্য তালিকা পাই না। এটা আমরা নিশ্চিত করতে পারি না।

‘খুচরা বাজারে গেলে ব্যবসায়ীরা বলেন, ক্যাশ মেমো তারা পায় না। ব্যবসায়ীরা দোষ চাপিয়ে মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর