বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রবৃদ্ধি নিয়ে আইএমএফের রিপোর্টে বিএনপি এখন কী বলবে: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ২১:২৭

বিএনপি নেতা এ্যানিকে গ্রেপ্তারের পর বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ কিংবা অন্য কারণে ওয়ারেন্ট থাকলে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে এটিই স্বাভাবিক। তারা যে আইন-আদালত মানে না, বিচার মানে না- ফখরুল সাহেবের এই বক্তব্য তার প্রমাণ।’

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিশ্বময় অর্থনৈতিক মন্দা এবং প্রবৃদ্ধি নিচের দিকে যাচ্ছে। সেখানে বিশ্বের গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। এটি আইএমএফের রিপোর্ট। এই রিপোর্টের পর মির্জা ফখরুল সাহেব কিংবা বিএনপি নেতারা কী বলবেন?’

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতা শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কি বলতে চাচ্ছেন কারও বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলেও তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না? ওয়ারেন্ট থাকলে তো গ্রেপ্তার হবেই। ওয়ারেন্ট থাকলে তো আওয়ামী লীগ নেতাও গ্রেপ্তার হন।

‘যার বিরুদ্ধে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ কিংবা অন্য কারণে ওয়ারেন্ট আছে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে এটিই স্বাভাবিক। এটিই আইনি প্রক্রিয়া, এটিই আইনি ভাষা। তারা যে আইন-আদালত মানে না, বিচার মানে না, সেটিরই প্রমাণ হচ্ছে এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য।’

সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে বৈঠক

এর আগে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নেতৃত্বে উপদেষ্টা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং সম্পাদকদের মধ্যে রিমন মাহফুজ, মফিজুর রহমান খান বাবু, শামীম সিদ্দিকী, মাহবুবুর রহমান, দীপক আচার্য, নাজমুল আলম তৌফিক প্রমুখ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমের মর্যাদা রক্ষা এবং জনগণের ঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য ভূঁইফোড় পত্রিকা এবং অবৈধ আইপিটিভি বন্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। এদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা উচিত। আগাম নোটিশ ও অন্তত ৩ মাসের বেতন ছাড়া হঠাৎ করে সাংবাদিকদের চাকুরিচ্যুত করা বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। পাশাপাশি দেশের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’

তথ্যমন্ত্রী সম্পাদক ফোরামের দাবিগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই। কারণ সরকার, গণমাধ্যম সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি এবং স্বাধীন, মুক্ত, দায়িত্বশীল গণমাধ্যম দেশের গণতন্ত্রকে সংহত করে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

‘আমাদের নির্বাচন নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র আছে। দেশে আবার বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্র আছে। সেই প্রেক্ষাপটে যাতে কেউ দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে না পারে, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র না করতে পারে, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর